“চিরন্তন”র ১৫তম প্রতিষ্টাবার্ষিকি উদ্জাপিত
ডেইলি চিরন্তন:বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাদক ও যৌতুক বিরোধী সাংস্কৃতিক সংগঠন”চিরন্তন”র ১৫তম প্রতিষ্টাবার্ষিকি উদ্জাপিত হয়।
প্রতিষ্টাবার্ষিকি উপলক্ষে গতকাল বিকেল ৪টা থেকে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান,কেককাটা ও মিষ্টি বিতরনের মাধ্যমে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চিরন্তনের সুরমা মার্কেটস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চিরন্তনের প্রতিষ্ঠা সভাপতি ইকবাল হোসেন আফাজের সভাপতিত্বে ও চিরন্তনের সাবেক সাধারন সম্পাদক পংকজ চন্দ ও আবদুল্লাহ খোকন, এর যৌথ সঞ্চালনায় ও দিলদার মোহাম্মদ শাহজাহান এর পরিচালনায় অনুষ্টতি সভায় বক্তব্য রাখেন কমরেড সিকন্দর আলী, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেট এর সাধারন সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত,গণতন্ত্রী পাটি, সিলেট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার আহমদ,বিশিষ্ট কলামিষ্ট এডভোকেট আব্দুল মালেক,এডভোকেট রেজাউর করিম খান,ফাতেমা সুলতানা অন্যা,গণতন্ত্রী পাটি, সিলেট জেলা সমাজসেবা সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন,এ,এস,এম মাসুম খান,মিজান আহমদ,ফরহাদ আহমদ,মর্তুজা শরফি,প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন মাদক আমাদের দেশে এক ভয়াবহ নেশার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে মদ, জুয়া আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। নেশাগ্রস্ত মানুষ খুন, আত্মহত্যার মতো জঘন্য খারাপ কাজ ঘটায়। মানুষের হাতে এসব নেশা বস্তু আমাদের সমাজেরই উচ্চ শ্রেণী প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে পৌঁছায়। বক্তারা আরো বলেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ উদ্যোগ থেকে আন্দোলন করে এসব নেশাগ্রস্ত বস্তু যুব সমাজের হাতে পৌঁছানো বন্ধ করতে হবে এবং সকলের সচেতন থেকে সব ধরনের মাদকদ্রব্য পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে দেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া। সাংবাদিকদের লেখনি বা কলম যুদ্ধের মাধ্যমে সব ধরনের নেশাদ্রব্যের অপকারিতা সম্পর্কে যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে হবে। নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে, সেই সাথে যৌতুক লোভীদেরও নিজ নিজ উদ্যোগ থেকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
এক সময় এদেশের মহিলারা মা-বাবার জন্য বোঝা ছিল, বর্তমানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মহিলাদের সর্বক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে প্রত্যেক নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার সহজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই এখন আর যৌতুকের মতো অভিশাপে মা-বাবাদের কোন রকম চিন্তা করতে হচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ টাকার কাবিন বিয়ে দেয়ার পরও অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যায়। সেখানে যৌতুক দেয়া না দেয়া সমান কথা। তাই এই ব্যাধি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রত্যেককে নিজস্ব অবস্থান থেকে সচেতন থাকতে হবে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন-চিরন্তনের এনায়েত হোসেন সাব্বির, বিকাশ দাস, কবির আহমদ, , রাসেল আহমদ, , মিজানুর রহমান, , মঈন উদ্দিন,হাসমত আলী, শাহাদৎ সপ্ন,জুবেল আহমদ, সাধনা রানী দাস,প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগিত পরিবেশন করেন কবির আহমদ,মিজান আহমদ,মঈন উদ্দিন,রাসেল আহমদ,ফরহাদ আহমদ, তাহমিনা আক্তার মিনা,পৌষী রানী তালুকদার,লুৎফা আহমদ লিলি বাশার আহমদ,দোলন চৌধুরী,পংকজ চন্দ ,সহ চিরন্তনের শিল্পীবৃন্দরা।