মাহে রমজানে পানি পানে উপকারিতা
মাহে রমজানে পানি পানে উপকারিতা
ডেইলি চিরন্তন:প্রচন্ড গরমের মাঝে এবারের রমজান মাস পালিত হচ্ছে। তাছাড়া মুসলমানদের রোজা রাখতে হবে প্রায় ১৫ ঘন্টা। তাই দেহে পানিশূন্যতার একটা ভয় থেকেই যায়। রোজায় দিনের বেলা শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। রমজানে বিশুদ্ধ পানি পানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া ও কিডনির যথাযথ কাজের জন্য প্রয়োজন। পানি কম খেলে রোজার দিনে মুখ ও জিহ্বা শুকনো থাকে, পানি স্বল্পতার জন্য শরীরে ক্লান্তি আসে। প্রাপ্তবয়স্কদের ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত । তাই সেহরি, ইফতার অথবা রাতে যত সম্ভব পানি ও শরবত পান করতে হবে।
দিনের বেলা ঘাম, প্রসাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রোজা রাখায় দিনে তা আর পূরণ করা সম্ভব হয় না। রাতে পান করেই পানির ঘাটতি মেটাতে হবে। বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয়।
এছাড়া সারাদিন ক্লান্তশ্রান্ত শরীর নিয়ে যখন ইফতারির আগ মুহূর্তে অনেকেই ঠান্ডা পানি পান করে থাকে, ফলে পরবর্তীরতে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং রোজা রাখতে কষ্ট হয়। তাই কষ্ট হলেও বেশি ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকা ভাল। এত করে আমাদের শরীর ভাল থাকবে।
ইফতারির সময় আমাদের তেল বা ভাজা-পোড়া খাওয়া হয় বেশি। যা পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়। এতে করে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও অতিরিক্ত গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রমজানে অনেকের ভাইরাস জ্বরের কারণেও পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া যাঁরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ডাই-ইউরেটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাঁদেরও এ সমস্যা হতে পারে।
আমাদের দেহের কোষগুলোর কার্যাবলি ঠিকভাবে সচল রাখতে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। নিম্নরক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার দূর করার জন্য পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি । সেহরি ও ইফতারের মধ্যবর্তী সময়ে পানি বারবার পান করতে হবে। ভোররাতে উঠে এক বা দুই গ্লাস পানি পানের পর এবং খাওয়া শেষে আবার দুই গ্লাস বা কিছু বেশি পানি পান করা দরকার। সেহ্রিতে খুব বেশি গুরুপাক খাবার না খাওয়াই ভালো, এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যা সহজে পরিপাক হয়। বেশি তেল বা ভাজা-পোড়া খাবার পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বাদ দিতে হবে।
ইফতারে বিভিন্ন ফলের রস খেলে সারা দিনের পানি শূন্যতা দ্রæত কমে যায়। ডাবের পানি পান করলে লবন ও পানি শূন্যতা দ্রুত ভালো করে। ঠান্ডা পানি বা লেবুর শরবত পান করা ভালো। শরবতে বেশি চিনি দেবেন না। মাঝে মধ্যে ফলের রস পান করতে পারেন, তবে বাজারে পাওয়া রস পান করা উচিত নয়। রোজা থাকার ফলে শরীরে পানি বা তরলের কমতি ঘটে। পানির অভাবে বা কমতির জন্য শরীরের বর্জ্য ঠিকভাবে বের হতে পারে না। ফলে চুল বা ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক সজীবতা। পানি বেশি করে পান করলে সজীবতা ফিরে আসে।
লেখা সংগ্রহে- ডেইলী চিরন্তন ডট কম, মডেল- এনামুল ইসলাম,ইসরাহা খন্দকার,
ফটোগ্রাফি-প্রভাত পাল।লোকেশন-সাবরিনা ‘স কিচেন।