বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী Reviewed by Momizat on . দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী   ডেইলি চিরন্তনঃ সভা থেকে ২০০২ সালে উন্নীত হয় সিটিতে। সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিধি প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। প দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী   ডেইলি চিরন্তনঃ সভা থেকে ২০০২ সালে উন্নীত হয় সিটিতে। সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিধি প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। প Rating: 0
You Are Here: Home » জাতীয় » দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী

দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী

দ্বিগুণ হলো সিলেট নগরী

 

ডেইলি চিরন্তনঃ সভা থেকে ২০০২ সালে উন্নীত হয় সিটিতে। সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিধি প্রায় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে শুরু হওয়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ৫৮ বর্গকিলোমিটারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন সিসিকে অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাজ শেষে গেজেট প্রকাশ হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।

মূলত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বাড়ানোর প্রক্রিয়া ২০১৪ সালে শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৪ সালের ২২ জুলাই স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে এ আবেদন করেন আরিফ। একই বছরের আগস্ট সিনিয়র সহকারী সচিব সরুজ কুমার নাথ সীমানা পরিবর্তন, সম্প্রসারণ এবং সংকোচন বিধি অনুযায়ী তথ্যাদি উল্লেখসহ পুনঃপ্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।

এরপর ২০১৫ সালে দেশে আসার পর থেকেই সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএ মোমেন সিটি করপোরেশন এলাকা বর্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ ও এশিয়ান মহাসড়কের মাঝামাঝি ১৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি।

এরপর ২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরীর আয়তন প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবও জমা দেয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে। তবে চা বাগান, জলাশয়, হাওর সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে রাখতে গিয়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা যায়নি বলে জানা গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের আগস্ট মাসে সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার তালিকা প্রকাশ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজা।

এর মধ্যে রয়েছে সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ারচর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ছাড়া), খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খণ্ড, টিলাগড়, দেবপুর, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খণ্ড, টিলাগড় ও দেবপুর।

দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ), বলদী (কয়েকটি দাগ) মৌজাগুলো নতুন করে সিলেট সিটির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়। নতুন আওতাভুক্ত অধিকাংশ এলাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি না থাকায় সিটি এলাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

About The Author

Number of Entries : 446

Leave a Comment

সম্পাদক ও প্রকাশক মো: ইকবাল হোসেন
অফিস: ৯ নং সুরমা মার্কেট,৩য় তলা সিলেট।
ইমেইল-dailychironton@gmail.com
ওয়েব-www.dailychironton.com
মোবাইল-০১৭১৬-৯৬৯৯৭৮

© 2015 Powered By dailychironton.Designed by M.A.Malek

Scroll to top