ডেইলি চিরন্তন:বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ এপ্রিল ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লী পৌছান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রটকল ভেঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে উষ্ণ আতিথীয়তা প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের সাথে ভারতের ২৫টিরও বেশী চুক্তি সমজোতা স্মারক সম্পাদিত হওয়ার কথা থাকলেও তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে এমনও আশার বাণী শোনা যায় নাই।
বাংলাদেশের খুলনা থেকে কলকাতা নতুন ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতের বিভিন্ন তীর্থ স্থান, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করতে অত্যন্ত আগ্রহী। তাছাড়া চিকিৎসার জন্য বিপুল সংখ্যক লোক ভারত গিয়ে আছেন। মালদ্বীপ, কানাডা, যুক্তরাজ্য ইত্যাদির মত দেশের ভিসা অফিস ভারতে থাকায় বিদেশ গমনেচ্ছুক অনেক লোককে ভারতে যেতে হয়। কিন্তু ভারতের ভিসা সিষ্টেম স্বল্প মেয়াদের কার্যকারীতা থাকায় বিদেশ গমনেচ্ছুকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
ভারত-বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্কের মুহূর্তে ভিসা ছাড়া ভারত বাংলাদেশ যাতায়াত করা সময়ের দাবী। তাছাড়া ভারতের মতো দেশে বাংলাদেশের লোক যাতে ভারত ভ্রমণ কালে ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্তির মাধ্যমে ভ্রমণ খরচ সংগ্রহ করার সুযোগ এনে দিতে পারে। অধিকাংশ সমজোতা স্মারক চুক্তি ভারতের প্রস্তাবে আনিত হলেও বাংলাদেশের ঝুড়িতে কম। এরূপ অবস্থায় আমরা আশা করব ভারত গমনেচ্ছুকদের সুবিধার্থে কেবলমাত্র বর্ডার চেকিং আউট সীলের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের ভারত সফরে সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশ ভারত বন্ধন আরো ইতিবাচক হবে। লেখকঃ আইনজীবী, কলামিষ্ট।
Leave a Reply