ঘরের মাঠে বাজেভাবে পরাজয়ের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়ে। এই পরাজয়ের জন্য অনেকেই দুষছেন দলের ‘হেড মাস্টার’ তথা প্রধান কোচ না থাকা নিয়ে। সমালোচকদের মতো বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও মানছেন একজন পেশাদার কোচ ছাড়া টিম চালানো সম্ভব না।
মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ধানমণ্ডি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে ছিলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন।
এদিন সভা শেষে বিসিবি সভাপতি বলেন, আসলে কোচ ছাড়া টিম চালানো সম্ভব না। আমাদের একজন পেশাদার কোচ নিয়োগ দিতেই হবে। আমারা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। দ্রুতই কোচ নিয়োগ দেয়া হবে।
হাথুরুসিংহে চলে যাওয়া পর কোচহীন হয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে ভালো মানের কোচ নিয়োগ দিতে না পারায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’র দায়িত্ব দেয় বিসিবি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টের হিসেবেই জাতীয় দলের কোচেরদায়িত্ব সামলিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তার অধীনে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে জয়ও পায় বাংলাদেশ। এরপর টানা দুই ম্যাচে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করে টাইগাররা।
প্রত্যাশা ছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সেভাবেই চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেছেন মুমিনুল-লিটনরা। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ টেস্টে দাপটের সঙ্গে ড্র করা দলটি মিরপুর টেস্টে বাজেভাবে হেরে যায়।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাস সেরা ১৯৩ রান করেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের তিলক আঁটে টাইগাররা। সিরিজে ফেরার ম্যাচে সিলেট চরম বাজেভাবে হেরে যায় সুজনের শিষ্যরা।
একের পর এক ট্রফি হেরে ঘরের মাঠেই পর হয়ে যায় বাংলাদেশ। এমন হারের পর ক্রিকেটার, কোচ ও টিম ম্যানজমেন্টের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। সমালোচকদের অনেকে আবার বলছেন দলের ‘হেড মাস্টার’ তথা প্রধান কোচ না থাকলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
Leave a Reply