কাগজে- কলমে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ফুটবল অঙ্গনে জোর গুঞ্জন, সাইফ স্পোটিং ছেড়ে বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিচ্ছেন মতিন মিয়া। মৌসুম শেষের আগেই খেলোয়াড়দের দলবদল নিয়ে গুঞ্জন হতেই পারে। কিন্ত এই গুঞ্জনে বড় চমক হচ্ছে, সাইফের এই ফরোয়ার্ডের আকাশছোঁয়া দাম। গত মৌসুমে দাম ছিল ১৫ লাখ। দুর্দান্ত এক গোলের পর সেই মতিন মিয়াই আসছে মৌসুমে চাইছেন ৫০ লাখ!
চ্যাম্পিনশিপ লিগ থেকে আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ারে উঠে বসুন্ধরা কিংসে এবার এই চড়া দাম দিয়েই কিনে নিতে চাইছে মতিন মিয়াকে।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিগে অসাধারণ এক গোল করেছিলেন সিলেটের এই ফুটবলার। যোগ হওয়া সময়ে নিজেদের বক্সের সামনে থেকে বল নিয়ে একা দৌড়ে একে একে পাঁচজনকে কাটিয়ে পাঠিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধার জালে। সেই এক দৌড়েই কিনা এক লাফে মতিন মিয়ার দাম বেড়ে হলো ৫০ লাখ।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মতিনকে ছাড়তে চাইনি। কিন্ত মতিনই আমাদের ক্লাব ছেড়ে দিয়েছে। সে আগামী মৌসুমের জন্য আমাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চেয়েছিল। হতে পারে সে ভালো ফুটবলার। কিন্ত আমাদের মনে হয়েছে. এখনো ৫০ লাখ টাকা পাওয়ার মতো ফুটবলার সে হয়ে ওঠেনি।’
অথচ এই মতিন মিয়া ছিলেন সাধারণ এক রংমিস্ত্রি। সিলেটে খেপ খেলে বেড়াতেন। মতিনের মাকে অনুরোধ করে এই ফরোয়ার্ডকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। গত মৌসুমে তাকে খেলিয়েছিল ১৫ লাখ টাকায়। সেখান থেকে ওই এক দৌড়েই অঙ্কটা ৫০ লাখ হয়ে গেল, মতিনের এমন প্রস্তাবে তাই একটু বিস্মিত নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ‘আমরা ভাবতেও পারিনি ও এত টাকা আমাদের কাছে চাইবে! সবারই টাকার প্রযোজন। মতিনেরও হয়তো এই মুহূর্তে অনেক টাকার প্রযোজন। তবে যেখানেই যাক, ভালো ফুটবল খেলুক, এটাই আমাদের চাওয়া।’
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান সরাসরি অবশ্য টাকার অঙ্কটা বলতে চাইলেন না। কিন্ত মতিন মিয়া যে বসুন্ধরার জার্সিতে খেলবেন, সেই আভাস দিয়ে রাখলেন, ‘এখনো ফুটবল মৌসুম শেষ হয়নি। তাই বলা যাবে না যে মতিন আমাদের ফুটবলার। তবে এটা সত্যি আমরা যে দল গড়ছি, সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় মতিন রয়েছে।’
কত টাকার বিনিময়ে বসুন্ধরায় খেলবেন মতিন? ইমরুল হাসানের উত্তর, ‘অন্যরা যা দেবে তার চেয়ে অবশ্যই কিছু বেশি দিয়ে ওকে আমরা নেব। নতুন দল গড়ছি, অবশ্যই সেরাদের নিয়ে লিগ খেলতে চাই।’
যে মতিন মিয়াকে নিয়ে এত কথা, তিনি পুরো ব্যাপারটা নিয়েই মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না।’
Leave a Reply