চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার কাছে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থাকে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল। এই দলটাই ফিরতি লেগে বাজিমাত করে বার্সার জালে ৪ গোল দিল।
দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে জার্গেন ক্লপের দলই নাম লিখিয়েছে ফাইনালে। এনিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রবেশ করল পাঁচবারের ইউরোপ সেরা লিভারপুল।
আনফিল্ডে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যেন মাঠ ছাড়তেও কষ্ট হচ্ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের। আলাদা করে বলতে হয় লিওনেল মেসির কথা, দলের সেরা তারকা তিনি। এমন এক লজ্জার পরাজয়ের সাক্ষী হবেন, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবতে পারেননি বার্সা সুপারস্টার। তার চেহারায় হতাশার ছাপও ছিল সবার চেয়ে গাঢ়।
আনফিল্ডে এমন হারের পর মেসিকে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সেলোনা দল। আনফিল্ডে থেকে যান মেসি। তার যে তখনও আরেকটি কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচের পরই ডোপ টেস্টের জন্য ডাকা হয় মেসিকে। সেখানে যতটুকু সময় লাগার কথা, লাগলো তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে দলের অধিনায়ককে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সেলোনা দল।
কাজ শেষ করে কয়েক ঘণ্টার পর সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেন মেসি। তবে মিডিয়ার কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি আর্জেন্টাইন খুদেরাজ। মুখ গোমড়া করেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান তিনি।
অ্যানফিল্ডে রেডসরা যে মরণকামড় দেবে, সে সম্পর্কে অবগত ছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা। কিন্তু এমন প্রবল প্রত্যাঘাতের আঁচ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কাতালান ক্লাবটি। নইলে হয়তো গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে রোমার কাছে অপ্রত্যাশিত হার থেকে শিক্ষা নিতো বার্সেলোনা।
এদিকে অসাধারণ মহাকাব্য লেখার পর শিষ্যদের সঙ্গেই মাঠে বাঁধভাঙা উদযাপনে মেতে ওঠেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি এই ক্লাবটি সম্পর্কে বর্ণনা করতে বলা হয় তবে বলব এটা একটা বিশাল হৃদয় এবং আজ রাতে তা পাগল হয়ে গেছে। এই আওয়াজ আপনি সারাবিশ্বে শুনতে পাবেন।’
ক্লপ আরও বললেন, ‘পুরো ম্যাচটিই ছিল অসাধারণ। জয় পাওয়াটা দুঃসাধ্য ছিল কিন্তু আমরা সেই কাজটিই করেছি, আমি জানিনা তারা (শিষ্যরা) কিভাবে তা করেছে।’
Leave a Reply