শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :::
ডেইলি চিরন্তন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য সিলেটসহ দেশ বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা ইমেইলে যোগাযোগ করুন
শিরোনাম ::
শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়,গ্রেপ্তার ৪ রেকর্ড গড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন জো রোগান আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবির ২ শিক্ষকসহ ৯ জন বহিষ্কার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদার কোন শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে, জানালেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের ৬ষ্ট প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদজাপন ‘মাজার ভাঙচুর করে সুন্নি জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না’ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার কঠোর বার্তা পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেসির মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মায়ামি কোচ বন্যায় আরো মৃত্যু, সবচেয়ে বেশি কুমিল্লায় প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন নোবেল বিজয়ী থেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য উপদেষ্টা যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রাইমারি শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা এ মাসেই চালু

প্রাইমারি শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা এ মাসেই চালু

প্রাইমারি শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা এ মাসেই চালু

IMG_20190610_011650

 

সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন তিন লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন

চলতি মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা যন্ত্র (ডিভাইস) বসাতে হবে। শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চালু করা হচ্ছে ‘বায়োমেট্রিক হাজিরা’।
যন্ত্রের সাহায্যে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন এ হাজিরার বিষয়টি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাএ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরের নামী মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে অনেক আগেই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হয়েছে অনেক আগেই।

সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন তিন লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন। তাদের প্রত্যেককে এই ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষকদের জবাবদিহির মধ্যে এনে বিদ্যালয়ে শতভাগ পাঠদান নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্লিপের টাকা থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষই ডিভাইস কিনবে। তারা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে তা বসাবেন। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা এটি দেখভাল করবেন।
তিনি বলেন, অনেক উপজেলায় এরই মধ্যে ডিভাইসটি কেনা হয়েছে, অনেক উপজেলায় কেনা হচ্ছে। এটি বসানোর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে যে কবে কোন তারিখে কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। কোন শিক্ষক বিলম্বে বিদ্যালয়ে হাজির হন, সেটিও জানা যাবে। সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌসুমভেদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। হাওর অঞ্চলে ধান কাটার সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে গরহাজির থাকেন। আবার পার্বত্য অঞ্চলে জুমচাষের সিজনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায় বিদ্যালয়ে। এর বাইরে সামগ্রিকভাবে সারাদেশে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। অনেকে দপ্তরির মাধ্যমে হাজিরা খাতা বাড়িতে এনে সই করেন। অনেকে আবার দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে না গিয়ে ভাড়া করা শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে (প্যারা শিক্ষক বলা হয়) ক্লাস করিয়ে থাকেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই মূলত বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত মার্চে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তা জানিয়ে দেয়া হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. এনামুল কাদের খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তাদের স্লিপ (School Level Improvement Plan- বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা) ফান্ড থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ দায়িত্বে এই মেশিন আগামী জুনের মধ্যেই কিনবে।
একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, তারা সরকারি আদেশটি জেনেছেন। যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের বিদ্যালয়ে তা বসাবেন। ঝালকাঠির রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক হাবিবুর রহমান জানান, ‘বিদ্যালয় সংস্কারের টাকা থেকে এ ডিভাইস কেনার বরাদ্দ পেয়েছি। বিদ্যালয়ে এখন রমজান ও ঈদের ছুটি চলছে। ঈদের পর যন্ত্রটি কিনে লাগাব।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, এ যন্ত্র কেনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সরকারদলীয় রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একশ্রেণির সিন্ডিকেটের উদ্ভব হয়েছে। তারা কমদামে নিম্নমানের যন্ত্র কিনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি দামে বিদ্যালয়গুলোকে গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

তারা আরো জানান, এ যন্ত্রের বাস্তব কিছু সমস্যাও আছে। মফস্বল বা গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যালয় যেখানে ইন্টারনেট নেই এবং বিদ্যুৎ থাকে না বা লোডশেডিং, সেখানে বায়োমেট্রিক হাজিরা খুব বেশি কার্যকর হবে না। তারা বলেন, আর বর্তমানে বাজারে যেসব বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই চায়না থেকে আমদানি করা নিম্নমানের। এগুলো খুব বেশি দিন কাজ করবে বলে মনে হয় না। এতে সরকারের অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কারণে আর্থিক দুর্নীতির আশঙ্কা রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন বিদ্যুৎ আছে। বিদ্যুতের সমস্যা খুব বেশি জায়গায় নেই। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই দেখেশুনে ভালো যন্ত্রটিই কিনবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  



© All rights reserved © dailychironton.com
Design BY Web Nest BD
ThemesBazar-Jowfhowo