ডেইলি চিরন্তনঃ মো. ইকবাল হোসেন, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার বাড়ির প্রয়াত শাহ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে আবেদন করেছিলেন ব্যাংকে। তবে মেলেনি ঋণ। কেননা, ব্যাংক কর্মকর্তা তার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই শেষে জানান ভোটার তালিকায় তিনি ‘মৃত’।
ব্যাংক কর্মকর্তার কথা শুনে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো মানুষটি জীবিত হওয়ার আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে। তবে কখন নামের আগে যুক্ত ‘মৃত’ শব্দটি বাদ পড়বে তার নিশ্চয়তা নেই। তার জাতীয় পরিচয়ত্র নম্বর (১৫১৭৪৬৩৫৫৯১৩৭)।
ভুক্তভোগী মো. ইকবাল হোসেন গনমাধ্যমকে জানান, গত ২১ এপ্রিল সিটি ব্যাংকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের জন্য আবেদন করতে যান। সেখানে জমা দেওয়া জতীয় পরিচয়পত্রে যাচাইয়ে তাকে মৃত দেখাচ্ছে। পরে পরবর্তী রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরার কাছে বিষয়টি অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সব ডাটাবেজ যাছাই করে দেখতে পান; ভোটার হাল নাগাদের সময় তালিকায় ইকবাল হোসেনকে মৃত দেখানো হয়েছে। ব্যবসায়ী মো. ইকবাল হোসেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ‘মৃত’ শব্দটি তুলার জন্য জন্য হলফ নামা ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ইউপি পরিষদের প্রত্যায়নপত্র ও জাতীয়তা সনদের কপি সংযুক্ত করে রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরা জানান, ২০১৭ সালে ভোটার হালনাগাদ করার সময় ব্যবসায়ী মো. ইকবাল হোসেনকে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই সময়ে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হালনাগাদ কাজ করেন শিক্ষক জামাল উদ্দিন। ভোটার হালনাগাদ করার সময়ে সাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মো. ইকবাল হোসেনকে মৃত বলে তথ্য দিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, মো. ইকবাল হোসেনের নাম জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ‘মৃত’ শব্দটি বাদ দিয়ে তাকে ‘জীবিত’ দেখানোর জন্য ঢাকায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভোটার হালনাগাদ করার সময়ে মো. ইকবাল হোসেনকে মৃত দেখানো তথ্য ফরমে স্থানীয় মেম্বার জাহাঙ্গীর সিকদার ও তৎকালীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রয়াত দিদারুল আলমের স্বাক্ষর রয়েছে। এ কারণে মো. ইকবাল হোসেনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। মো. ইকবাল হোসেনের নাম ভোটার তালিকা থেকে মৃত শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
Leave a Reply