বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের গঠিত কমিটি তাদের বরখাস্ত করে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেটের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ঢাকায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে ২ জনকে বরখাস্ত করেছেন। পূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত বলেন, আমরা শুক্রবার ওই নারীর বাসায় গিয়ে তাকে সহমর্মিতা জানিয়ে এসেছি। এছাড়া আগামী ফ্লাইটে তিনি যাতে সুন্দরভাবে যেতে পারেন তার জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব বলে তাকে আশ্বস্ত করেছি।
গত বুধবার সিলেট থেকে লন্ডনের সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ এর যাত্রী ছিলেন জামিলা চৌধুরী। তিনি ওইদিন যুক্তরাজ্যে যেতে পারেননি ওসমানী বিমানবন্দরের কিছু কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক ও অন্যায় আচরণের কারণে।
জামিলা চৌধুরীর অভিযোগ, সঙ্গে থাকা মালামালের ওজন বেশি এমন অজুহাতের সূত্র ধরে বারকোডযুক্ত লোকেটর ফর্মের প্রিন্ট কপি বাধ্যতামূলক বলে দাবি করেন বিমানের লোকজন। এ নিয়ে খানিকক্ষণ বাক-বিতণ্ডার পর জামিলা চৌধুরী বিমানবন্দরের নির্ধারিত কাউন্টারে লোকেটর ফর্ম প্রিন্ট করার জন্য যান। কিন্তু সেখানে দীর্ঘ লাইন থাকায় তা প্রিন্ট করাতে পারেননি।
জামিলা চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আমি উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তাকে অনুরোধ করি, কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। বিমানবন্দরে নিজের অভিযোগ জানাতে চাইলেও তার অভিযোগ কেউ গ্রহণ করেনি।
সিলেট বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াত বলেন, ওই যাত্রীর সঙ্গে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। প্রতি কেজি ২ হাজার ৬১১ টাকা হিসেবে এক লাখ টাকার উপরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তিনি প্রথমে ওভার ওয়েটের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি। পরে যখন তিনি অতিরিক্ত লাগেজ ছেড়ে যেতে রাজি হন তখন কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।
বিমান বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে প্রতি কেজি অতিরিক্ত ওজনের জন্য ১০ পাউন্ড ফি উল্লেখ থাকার কথা বললে তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে কি আছে জানি না, তবে আমাদের এটাই ধার্য করা আছে এবং তা নিয়মমাফিকই নেওয়া হচ্ছে।
ওমর হায়াত আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কাউন্টার বন্ধ করতে হয়। কিন্তু ওই যাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার লাগেজের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ সিলেটের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী মো. ওমর হায়াতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার বাসায় গিয়ে দেখা করেন। তারা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ৪ আগস্ট যুক্তরাজ্যে যেতে তার টিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন। এছাড়াও ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
Leave a Reply