শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাজেট সহায়তা হিসাবে সরকারকে এ অর্থ দিচ্ছে সংস্থাটি।রোববার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত এক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ ও এডিবির কান্ট্রি ডাইরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি সই করেন।
এ ঋণ পেতে শেয়ার বাজার সংস্কারে নতুন ২৬টি শর্ত দিয়েছে এডিবি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০টি শর্ত পূরণ করবে সরকার।
চুক্তি শেষে সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতিমধ্যেই ১০টি শর্ত পূরণ হয়েছে, ফলে ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা ছাড় করবে সংস্থাটি। বাকি শর্তগুলো পূরণ সম্ভব। এসব শর্ত পূরণ করা হলে শেয়ারবাজারের লাভ হবে।
তিনি জানান, শর্তের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো অন্যতম। গত ২০ নভেম্বর এডিবির বোর্ড প্রথম কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে।
কাজুহিকো হিগুচি বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি অর্থবছর ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শেষে ২০২০ সালে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব লক্ষ্য পূরণে সরকারকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শেয়ারবাজার উন্নয়ন। এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, এর আগে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে (দ্বিতীয় পর্যায়ে) প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা (৩০ কোটি ডলার) সহায়তা দেয় এডিবি।
১৫ কোটি করে দুই দফায় ৩০ কোটি ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এজন্য পুঁজিবাজার বিষয়ক মোট ২৮টি শর্ত বাস্তবায়ন করতে হয় সরকারকে। সম্প্রতি এ কর্মসূচির কাজ শেষ হয়েছে।
Leave a Reply