২৫ ডিসেম্বর প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন। আর জন্মদিনে তাঁকে উৎসর্গ করে ২৪ ডিসেম্বর সিডিতে প্রকাশিত হচ্ছে ‘বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর প্রথম স্টুডিও  অ্যালবাম ‘বেনানন্দ’। সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে অ্যালবামটির মোড়ক উম্মোচন করা হবে। ‘বাপ্পা মজমুদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর সদস্যদের পাশাপাশি এতে উপস্থিত থাকবেন অ্যালবামটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিরোনা বাংলাদেশ প্রাঃ লিমিটেড ও এমকে গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, নাট্য ব্যাক্তিত্ব শংকর সাঁওজাল, সংগীত পরিচালক পার্থ মজমুদার, অ্যালবামটির পাওয়ার্ড বাই রবি আজিয়েটার জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ’সহ অনেকে।

‘বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘বেনানন্দ’ সাজানো হয়েছে ৮টি লোক গান নিয়ে। এরমধ্যে তিনটি লালনের ‘জাত গেলো জাত গেলো বলে’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ এবং ‘বাড়ির পাশে আরশী নগর’। তিনটি রাধারমনের ‘বনমালী তুমি পরজনমে হইও রাধা’, ‘কারো দেখাবো মনের দুঃখগো’ এবং ‘শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে’। একটি গান হাছন রাজার ‘আগুন লাগাইয়া দিলো কনে’ এবং একটি মন মোহন দত্তের ‘বেনানন্দ’ (বাঁশপাতা আর কলমিলতা)। সবগুলো গানের সংগীতায়োজনে ‘বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’।
এ প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘আধুনিক গান করে পরিচিতি পেলেও লোক গানও আমার খুব পছন্দ। মাঝে মধ্যে লোক গান করেও থাকি। লোক গানই কিন্তু সংগীতের ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব পরিচয় বহন করে। ইচ্ছা ছিল কখনো সুযোগ পেলে লোক গানের পুরো অ্যালবাম করার। সঞ্জীব দার জন্মদিনে অ্যালবামটি উপলক্ষ্যে প্রকাশ করতে পারছি এটা আমার জন্য অন্যরকম এক অনুভূতি।’
বাপ্পা আরো বলেন, ‘ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম বলে অ্যালবামটি নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হয়েছে। অ্যালবামের বিশেষত্ব হলো সবগুলো গানই ম্যানুয়ালি বাজানো। যার ফলে সাউন্ডেও নতুনত্ব এসেছে। আশাকরি সবার ভালো লাগবে।’  ‘বেনানন্দ’ অ্যালবামটি প্রকাশ করছে জিরোনা বাংলাদেশ। মোড়ক উম্মোচন আজ করা হলেও অ্যালবামটি সারা দেশে পাওয়া যাবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য গত ১ নভেম্বর থেকে রবি রেডিওতে (৮০৮০৬ ডায়াল করে) এক্সক্লুসিভলি শোনা যাচ্ছে অ্যালবামটির সবগুলো গান।
‘বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর সদস্যরা হলেন-বাপ্পা মজুমদার (ভোকাল, গিটার ও দলনেতা), সোহেল আজিজ (কী-বোর্ড), জন শার্টন (বেজ), মামুস (গিটার), ডানো (ড্রামস) এবং শাহান কবন্ধ (ম্যানেজার)।