শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :::
ডেইলি চিরন্তন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য সিলেটসহ দেশ বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা ইমেইলে যোগাযোগ করুন
শিরোনাম ::
শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়,গ্রেপ্তার ৪ রেকর্ড গড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন জো রোগান আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবির ২ শিক্ষকসহ ৯ জন বহিষ্কার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদার কোন শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে, জানালেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের ৬ষ্ট প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদজাপন ‘মাজার ভাঙচুর করে সুন্নি জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না’ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার কঠোর বার্তা পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেসির মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মায়ামি কোচ বন্যায় আরো মৃত্যু, সবচেয়ে বেশি কুমিল্লায় প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন নোবেল বিজয়ী থেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য উপদেষ্টা যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে : প্রধানমন্ত্রী
অভিভাবকদের ‘তসবিহ পড়তে’ বলেছিল পুলিশ

অভিভাবকদের ‘তসবিহ পড়তে’ বলেছিল পুলিশ

bahubal_child_police_5051হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু নিখোঁজের ঘটনায় স্থানীয় থানায় গেলে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অভিভাবকদের বাড়ি গিয়ে ‘তসবিহ পড়তে’ বলেছিল পুলিশ।

পাঁচদিন পর বালুচাপা দেয়া অবস্থায় শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার হলে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, পুলিশ তৎপর হলে শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা যেতো।

অভিভাবকদের এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু ওই কমিটির বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ ওঠেছে।

পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বললেও মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন কমিটি কেবল কাজই শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে তদন্ত দলের প্রধান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি যুগান্তরকে জানান, তদন্ত চলছে, দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র যুগান্তরকে বলেন, অ্যাকশন হলেই জানতে পারবেন। এর বেশি কোনো কথা বলতে তিনি রাজি হননি।

জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের আত্মীয় আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়।

ওইদিনই বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান শিশু তাজেল মিয়ার বাবা আবদুল আজিজ। কিন্তু থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহমান জিডি নেননি।

পরদিন আরেক শিশু জাকারিয়া শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া জিডি করলেও বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়নি।

এদিকে বাহুবল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজ শিশুদের অভিভাবকদের বলা হয়, বাড়ি গিয়ে ‘তসবিহ পড়তে’, ‘মেলায় গিয়ে খোঁজ নিতে’।

নিহত শিশুদের পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল কি-না তা তদন্তে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে কমিটি সদস্য করা হয় হবিগঞ্জ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এবং হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কাজী কামাল উদ্দিনকে। তাদেরকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি চিঠি পাননি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। দ্রুত রিপোর্ট দেয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  



© All rights reserved © dailychironton.com
Design BY Web Nest BD
ThemesBazar-Jowfhowo