রাজধানীর ক্ষতিগ্রস্ত ম্যানহোল পুরস্থাপনে ‘১৬১৬২’ নম্বরে কল করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সদস্য নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, রাজধানীর অধিকাংশ ম্যানহোল ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণাধীন। ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে থাকা ম্যানহোলের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এর মধ্যে ড্রেনেজ লাইনের ওপর প্রায় ১১ হাজার এবং স্যুয়ারেজ লাইনের ওপর প্রায় ২৯ হাজার ম্যানহোল রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মাধ্যমে ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ লাইনের ওপর স্থাপিত সমস্ত ঢাকনাসহ ম্যানহোলের তদারকি করা হয়। এ ছাড়াও ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে সেখানেও অভিযোগ করা যায়। এছাড়া ১৬১৬২ নম্বরে কল করলে ঢাকার ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের তথ্য পাওয়া মাত্র তা পুনস্থাপন করা হয়।
আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র আওতায় সারা দেশব্যাপী ৪ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬০২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের এক প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, গ্রাম পুলিশের ভাতা পরিশোধের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর বার্ষিক অনুদান প্রদানের কোন নীতিমালা গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে গ্রাম পুলিশদের সরকারি অংশের বেতন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রদান করা হয়ে থাকে।
সরকারী দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের ২২ লক্ষ দরিদ্র পরিবার তথা এক কোটি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠি উপকৃত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৪৮৫টি উপজেলার চার হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের মোট ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডের ৪০ হাজার ৪২৭টি গ্রামকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতি গ্রামের ৬০জন দরিদ্র মানুষকে নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে দেশের ২২ লাখ দরিদ্র পরিবার তথা এক কোটি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠি উপকৃত হচ্ছে।
তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সমিতির সদস্য প্রতিমাসে ২০০ টাকা হিসেবে ২ হাজার ৪০০টাকা সঞ্চয়ের বিপরিতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ উৎসাহ বোনাস এবং বছরে সমিতি প্রতি এক লাখ ৫০ হাজার টাকা আবর্তক তহবিল দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি দুই বছরে সমিতির স্থায়ী তহবিল হয় ৯ লাখ টাকা। সরকার প্রদত্ত অনুদানের টাকা কখনও ফেরত নেওয়া হবে না।
তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সমিতির বর্তমান তহবিল ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এ তহবিল হতে ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২১ লাখ ৪৮ হাজার ক্ষুদ্র আয়বর্ধক খামার গড়ে তুলা হয়েছে।
Leave a Reply