জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৬ সালের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার স্বাধীনতা পদকের জন্য ১৪ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছে বলে এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন:
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে- একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী ও প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একাত্তরে ভারতের মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্প, অপারেশন ক্যাম্প ও শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।
সফল রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম মৌলভী আচমত আলী খান।
সুপারসনিক এয়ারক্রাফট এফ-৬ এর সফল পাইলট ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স গঠন প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম বীরউত্তম।
একাত্তরে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক রাজশাহী পুলিশ লাইনস্ আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ ফোর্স সংগঠনে নেতৃত্বদানকারী শহিদ শাহ্ আব্দুল মজিদ।
রাঙামাটিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নেতৃত্ব দানের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদতবরণকারী রাঙামাটির তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান হাইকমিশন, লন্ডনে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী এবং বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান স্বহস্তে লেখক মরহুম এ কে এম আবদুর রউফ।
১৯৭১ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত থাকাকালে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী এবং দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রথম মিশন স্থাপনকারী কে এম শিহাব উদ্দিন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীনতার স্বপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকারী সৈয়দ হাসান ইমাম।
মাতৃভাষা ক্ষেত্রে-একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী মরহুম রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে-কৃষি গবেষক এবং তোষা পাট ও দেশি পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারক মরহুম অধ্যাপক ড. মাকসুদুল আলম।
চিকিৎসাবিদ্যা ক্ষেত্রে-প্রথিতযশা শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ রফি খান (এমআরখান)।
সংস্কৃতি ক্ষেত্রে- রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষক অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
এছাড়া সরকার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের জলসীমায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরলস দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
Leave a Reply