তথ্য- প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনায় পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে মনযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরদের সঙ্গে প্রথম সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী গভর্নরদের উদ্দেশে বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে আইসিটি পার্কগুলো গড়ে তুলতে হবে।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, বৈঠকে হাই-টেক পার্কগুলো স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আইটি সেক্টরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে। হাই-টেক পার্কগুলো স্থাপন হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
সভায় কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক স্থাপনে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।
সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কালিয়াকৈরের হাই-টেক পার্কটির ৩৫৫ একর জমির ২৩২ একরকে পাঁচটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। গত বছর ১৫ অক্টোবর এই পার্কের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ,ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শেরিফ,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান,বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ,মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply