প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হচ্ছে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীরা যদিও ষড়যন্ত্র করছে, মানুষ এখন আর তাদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয় না।
বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে একটা দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এদেশের ছেলে-মেয়েরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানত না। আজকে দিন বদলেছে। আমাদের দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের ইতিহাস ছেলে-মেয়েরা জানে। তারা জানে, বঙ্গবন্ধু বিজয়ের পতাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) নেই, তার খুনিদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাদীদেরও বিচার হচ্ছে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীরা যদিও ষড়যন্ত্র করছে, মানুষ এখন আর তাদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয় না।
নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আজকে বাবারা সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যায়। আর আমাদের জীবনে বাবাকে খুব কমই দেখার সুযোগ হয়েছে। আব্বাকে বেশির ভাগ সময়ে জেলে থাকতে হয়েছে। আমরা স্কুল থেকে জেলগেটে যেতাম বাবাকে দেখার জন্য। কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকে জেল গেটে বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেতে হতো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তার (বঙ্গবন্ধু) সন্তান হিসেবে গর্বিত, তিনি একটা জাতিকে স্বপরিচয়ে পরিচিত করে দিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে গর্বিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। একটাই চিন্তা আমার, যে জাতির জন্য আমার বাবা এত কিছু করে গেছেন; তাদের জন্য কিছু করতে হবে।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল; ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমাদের কাজ জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা। এজন্য দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং লেখাপড়া শিখতে হবে।
প্রত্যেকটা শিশুর মাঝে যে সুপ্ত প্রতিভা আছে, এটা বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। শিশুদের বলবো, লেখাপড়া করতে হবে, বাবা-মার কথা শুনতে হবে। তোমাদের কোনো সম্পদ দিতে পারবো না, একটা সম্পদ দিয়ে যাবো; সেটা হলো শিক্ষা। এটা কেউ লুট করতে পারবে না। হাইজ্যাক করতে পারবে না। এটাই তোমাদের গ্রহণ করতে হবে। পড়াশুনায় আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দায়িত্ব দেশের মানুষের জন্য কিছু কাজ করে যাওয়া। সেটাই করছি। তার মধ্যে বড় দায়িত্ব; শিশুদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলা। মনে রাখতে হবে, এই বিশ্বটা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব, এই বিশ্বে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
Leave a Reply