১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার জাতির জনকের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও।
প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। কিছু সময় পরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।
সকাল সোয়া ১০টার পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দলীয় প্রধান হিসাবে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, ফজলে রাব্বি মিয়া, আসম ফিরোজ, মেহের আফরোজ চুমকি, শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়ায় তিনি বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। পরে সেখানে বইমেলার উদ্বোধন এবং সেলাই মেশিন বিতরণ করবেন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মরণে শুক্রবার বিকালে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।
Leave a Reply