নুরুল্লাহকে মারধর করে ভিডিও করা এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত জুনায়েদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তবে জুনায়েদকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে জুনায়েদ আল ইমদাদ নামের এক তরুণ মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নামের আরেক ছেলেকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ১০ মিনিটের এই ভিডিওতে জুনায়েদের মারধরের পাশাপাশি দম্ভোক্তি প্রকাশ পেয়েছে। পুরো ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে ধানমণ্ডি লেক এলাকায়।
এখানে ক্লিক করে পড়ুন সোশ্যাল মিডিয়ায় জুনায়েদকে নিয়ে আলোচনা ‘জুনায়েদ রিটার্নস’
জুনায়েদ বার বার লাফিয়ে লাফিয়ে লাথি মারতে থাকে নুরুল্লাহ নামের ছেলেটিকে। একই সাথে বলতে থাকে ‘আমি জুনায়েদ, জুনায়েদ। কোনো মন্ত্রী-মিনিস্টার আমার কিছু করতে পারবে না’। জুনায়েদ নামের ওই তরুণের অভিযোগ নুরুল্লাহ তার প্রেমিকাকে নিয়ে বাজে কথা বলছে। অথচ নুরুল্লাহ বারবার বলছে সে এমনটি বলেনি। কিন্তু জুনায়েদ তার কথা শুনতে অপারগ। সে নেশাগ্রস্তের মতো একের পর এক লাথি, চড় থাপ্পড় মেরেই যাচ্ছে। একই সাথে তার এক বন্ধু (যে ভিডিও করছে) তাকে কাছে এসে ভিডিও করতে বলছে। জুনায়েদের একই কথা সে কেন খারাপ কথা বলেছে। কিন্তু নুরুল্লাহ কোনো প্রতিবাদ না করে শুধু জুনায়েদকে বোঝানোর চেষ্টা করছে সে আসলে মেয়েটির নামে কোনো বাজে কথা বলেনি। ভিডিওর শেষ প্রান্তে রিজভি নামের আরেক ছেলের প্রসঙ্গ আসলে সেখানে জুনায়েদ নেশাগ্রস্তের মতো বলতে থাকে ‘আমি জুনায়েদ, জুনায়েদ…। কোনো মন্ত্রী মিনিস্টার আমার কিছু করতে পারবে না’। এই মারধরের ঘটনায় গত সোমবার রাতে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত জুনায়েদ রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জুনায়েদের সঙ্গে নুরুল্লাহর ফেসবুকে পরিচয়।
ধানমণ্ডি থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, নুরুল্লাহ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় জুনায়েদকে আসামি করা হয়েছে। জুনায়েদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, নুরুল্লাহ একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। তার বাসা পান্থপথে।
পড়ুন প্রথম দিনের সংবাদ আমি জুনায়েদ, কোনো মন্ত্রী মিনিস্টার আমার কিছু করতে পারবে না
মারধরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরে আরেকটি ভিডিও আপলোড করে জুনায়েদ। যেখানে জুনায়েদ বলছে, সে রাগের মাথায় ভুল করে ফেলেছে বলে জানায়। জুনায়েদের বাড়ি গেণ্ডারিয়া এলাকায়। অডিওর আরেক প্রান্তের ব্যক্তির পরিচয় না পাওয়া গেলেও তিনি ধানমণ্ডি এলাকার সেটা জানা যায়। তিনি জুনায়েদকে ক্ষমা চেয়ে (অ্যাপোলজি) ভিডিও আপ করতে বলেন। এরপর সোমবার একটি ‘অ্যাপোলজি’ ভিডিও আপ করা হয়, যেখানে জুনায়েদ শিকার করে, এভাবে মারা ঠিক হয় নাই। তবে সেই ছেলেটি জুনায়েদের সঙ্গে যে কাজ করেছে সেটাও ঠিক করে নাই। কিন্তু তার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি যেন আরও দৃষ্টিকটু। মনে হচ্ছে সিনেমার কোনো আন্ডারগ্রাউন্ডের ডন হুমকি দিয়ে কথা বলছে।
Leave a Reply