মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও সাম্যের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ অনুসরণেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আন্তঃধর্ম সংলাপের মাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষ ও ভীতি প্রশমনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ১৩তম শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিবৃতিটি পাঠ করেন।
বিবৃতিতে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য নিরসনে একটি কৌশল বা উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন। মুসলিম দেশগুলোতে মানবিক সহায়তা দিতে কৌশল প্রণয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ওআইসি-২০২৫ প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নির্মূলে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ওআইসির অগ্রাধিকারমূলক ও অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান এবং রোহিঙ্গাসহ মুসলিম সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সংহতির ভিত্তিতে একত্রে কাজ করারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ২০টির বেশি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে এ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। দুই দিনের এ সম্মেলন শুক্রবার শেষ হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১২ ও ১৩ এপ্রিলের বৈঠকে যোগ দেন। মুসলিম বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ন্যায়বিচার ও শান্তির জন্য ঐক্য ও সংহতি।
Leave a Reply