সিলেটে মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণের দাবীতে গতকাল ২৬ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার বাসিন্দা, ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিরুল সিলেট মেট্টোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপ-পুলিশ কমিশনার এর পক্ষে কনস্টেবল বিনয় পাল।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলার বাসিন্দা মাদক বিক্রেতা শাহীন আহমদ, জমির আহমদ, রাহিন আহমদ গংরা গত ২৩ এপ্রিল শনিরার রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার সময় আমার ভার্থখলার স্বর্ণালী-বি ৪৬নং বাসার গেইটের সামনে দাড়াইয়া হৈ, হোল্লা, চিৎকার, চেচামেছি করতে থাকলে আমি চিৎকার শুনে বাসা থেকে বের হয়ে তাদের চিৎকারের কারণ জানতে চাই। এতে তারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার সাথে অশ্লিল ভাষায় কথা বলা সহ উত্তেজিত হয়, আমি অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোককে বাসার সামন থেকে চলে যাওয়ার কথা বললে তারা বলেন, আমরা শাহিন ও জমির এর মেহমান কেন আমরা চলে যাব? এই অবস্থায় শাহিন, জমির ও রাহিন তাদের বাসা থেকে পুনরায় বের হয়ে আমার সাথে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা বাসার ভেতর চলে যায়। অত:পর তারা বাসার ভেতরে গিয়ে আমার বাসা লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ও কাচের বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের হামলায় বোতলের আঘাতে আমি, আমার ছেলে এবং ছোট ভাই এর হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।
আমি বিষয়টি তৎক্ষণাত দক্ষিণ সুরমা থানা এবং দক্ষিণ সুরমার পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এস আই ফজলুর রহমান ও টি এস আই ইকবাল। এ সময় আমি তাদেরকে অনুরোধ করি শাহিনের বাসায় ঢুকে হামলাকারী গংদের গ্রেফতার করতে। কিন্তু অফিসার শাহিনের বাসায় ঢুকেন না। আমি বার বার চাপ দেওয়ার পর আমাকে অফিসার বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমরা বাসায় ঢুকতে পারব না। অফিসারের এসব কথা শুনে আমি হতভম্ব হই। মাদক ব্যবসায়ীদের বাসায় ঢুকতে কেন তারা ভয় পাচ্ছেন। স্মারকলিপিতে জানা যায়, তারা ৩/৪টি মাদকের মামলা ও পুলিশে স্কট মামলার আসামী। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভার্থখলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সিরুল।
উল্লেখ্য, এলাকার পরিবেশ সুন্দর রাখার স্বার্থে ভার্থখলা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী মিসবাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি আহাদ মিয়া, মখলিছ মিয়া সহ এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিয়ানদের উপস্থিতিতে এক শালিস বৈঠকে গত ৩/৪ বছর আগে শাহিন গংরা লিখিত অঙ্গিকারনামা দেন তারা আর মাদকের ব্যবসা করবে না। করিলে পঞ্চায়েতের মুরব্বিগণ যে শাস্তি দেবেন তা মাথা পেতে নিতে তারা বাধ্য থাকিবে। কিন্তু তারা এই অঙ্গিকার নামা ভুলে গিয়ে পুনরায় অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দাপটে এলাকার মানুষ আতংকিত। যে কোন সময় তারা বড় ধরনর দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
Leave a Reply