হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলামের স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী জেসমিন আহমেদ মল্লিক মিমোর মরদেহ অ্যাপোলো হাসপাতালের লাশ রাখার হিমঘরে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যও মর্গে পাঠাতে পারেনি থানা পুলিশ। আদৌ ময়নাতদন্ত করা হবে কি-না- সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তও পাওয়া যায়নি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান জেসমিন আহমেদ মল্লিক মিমো (৪০)। তার এ মৃত্যুকে শুরু থেকেই রহস্যজনক বলছে পুলিশ। ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন সমকালকে বলেন, জেসমিনের বাবা পুলিশের সাবেক ডিআইজি জিয়া উদ্দিন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তিনি দেশে ফিরলে মেয়ের দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। থানা পুলিশ স্বজনদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
পুলিশের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে বাড়ির ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। ডিআইজির স্ত্রী হয়তো ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন অথবা তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। সুরক্ষিত বাড়ি হওয়ায় দ্বিতীয়টির সুযোগ কম।
ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। জেসমিন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছিলেন। হয়তো যন্ত্রণায় তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে পারেন। এ ছাড়া আত্মহত্যার অন্য কারণ আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ডিআইজি ও তার স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কোনো ঝামেলা ছিল না।
এ দিকে জেসমিনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সোমবার পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জেসমিন আহমেদের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
Leave a Reply