পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের প্রয়াণ দিবস আজ। দেখতে দেখতে তার চলে যাওয়ার সাতটি বছর কেটে গেল। মাত্রাতিরিক্ত প্রপোফল সেবনে ২০০৯ সালের ২৫শে জুন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন তুমুল জনপ্রিয় মার্কিন এ পপ গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও আজও তিনি বেঁচে আছেন অগণিত ভক্তের হৃদয়ে। তিনি পপ, আর অ্যান্ড বি, রক, সোল ধাঁচের গানের মাধ্যমে চার দশক প্রায় বিশ্ব মাতিয়েছিলেন। তাকে পপ সংগীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মাইকেল জ্যাকসন শিকাগোর কাছাকাছি ইন্ডিয়ানার গ্যারি শহরে এক আফ্রো-আমেরিকান পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। জো জ্যাকসন ও ক্যাথরিন ইস্তারের ৭ম সন্তান মাইকেল। ১৯৬৪ সালে বাবা পাঁচ ছেলে জেরমাইন, জ্যাকি, টিটো, মেরলন ও মাইকেলকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’ নামের ব্যান্ড৷ সবচেয়ে ছোট মাইকেল ছিলেন এর প্রধান গায়ক। তার সংগীত ও নৃত্য কুশলতা সংগীত রসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরের বছরই ‘মোটাউন’ রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ব্যান্ডটি। ১৯৭১ সালে ১৩ বছর বয়সে শুরু করেন একক ক্যারিয়ার৷ এরপর একের পর এক হিট অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালে প্রকাশ হওয়া ‘থ্রিলার’ অ্যালবামটি এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি৷ এ অ্যালবামের ব্যবসায়িক সাফল্যের রেকর্ড এখনও কোনো সংগীত শিল্পী ভাঙতে পারেননি৷ মাইকেল জ্যাকসনের সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে অব দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) ও হিস্ট্রি (১৯৯৫)। ২০১৪ সালের ১৩ই মে তার অপ্রকাশিত আটটি গান নিয়ে বাজারে আসে নতুন অ্যালবাম ‘এস্কেপ’। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— বিলি জিন (১৯৮৩), ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট (১৯৯১), পল ম্যাকার্টনির সঙ্গে সে সে সে (১৯৮৩), রক উইথ ইউ (১৯৭৯), বিট ইট (১৯৮৩), ম্যান ইন দ্য মিরর (১৯৮৮), ব্যাড (১৯৮৭), ডোন্ট স্টপ টিল ইউ এনাফ (১৯৭৯), ইউ আর নট অ্যালোন (১৯৯৫) ও দ্য ওয়ে ইউ মেক মি ফিল (১৯৮৭)।
Leave a Reply