তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সকলের নাগরিক অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই ফসল। তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা সংবিধানের স্বীকৃতি ও শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর ন্যায্য অধিকার, নাগরিক ক্ষমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছেন।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সৌহার্দ্যকে দেশের উন্নয়নের মহামন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।
‘দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত’-এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমান অধিকারের অধিকারী। কেউ কাউকে ছোট-বড় চোখে দেখার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গঠিত আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইনের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা দেশের উন্নয়নে আরো বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
এ সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিশন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করে ইনু বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা হলে তা এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তার মন্ত্রণালয়ের কাজে সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জুয়েল চাকমার একটি আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক অর্জন করে।
Leave a Reply