এক দিনের ব্যবধানে আবারো নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে।
যমুনার পর এবারের অভিযান মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাড়ে নয় ঘণ্টার যৌথ অভিযানে এক মাদ্র্রাসা শিক্ষকসহ পাঁচ জনকে আটক হয়েছেন।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে হরিরামপুরের পদ্মা নদী বেষ্টিত দুর্গম চর লেছড়াগঞ্জ, সুতালড়ি, আজিমনগর ও ধুলসুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- স্থানীয় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ মজিবর রহমান (৪৫), নুরুল ইসলাম (৩০), ফরহাদ (২০), রাজিব (২২) ও শহিদ (২৫)। আটককৃদের সবার বাড়ি এসব চরাঞ্চলে।
আটক সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে দুটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র, তিনটি ককটেল ও কয়েকটি রাষ্ট্র বিরোধী লিফলেট উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বিশেষ অভিযানকালে পাঁচজনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
এই বিশেষ অভিযানেপুলিশ,র্যাব-৪,ডিবি পুলিশ,আমর্ড ব্যাটিলিয়ান মিলিয়ে দুইশত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য একযোগে অংশ নেন।
অভিযান শেষে মো.মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ রকম দুর্গম চরাঞ্চলে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা এরকম দুর্গম চরকে তাদের আস্তানা ও ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলা পৃথক আটটি ইউনিয়ন যে গুলোর অবস্থান পদ্মা ও যমুনা নদীর মাঝখানে। এদুটি উপজেলার প্রায় ১১টি চরাঞ্চল রয়েছে। শীত কিংবা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই এসব এলাকার জনপদে যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা কিংবা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।
এদিকে যৌথ বাহিনীর বিশেষ এই অভিযানকে চর এলাকার মানুষজন সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, মাঝে মাঝে এ ধরনের অভিযান চালালে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে।
হরিরামপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাসার সবুজ জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী এই যৌথ অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে মনে করছেন। তার মতে, ওই সব জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা এখন বার চর এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।
Leave a Reply