বাবা মা স্টার মানেই বলিউডে যে আকাশছোঁয়া গুরুত্ব এমনটা নয়, একটা সিনেমা ফ্লপ হলেই প্রযোজকরা আর ফোন ধরেন না। বলিউডের এই গোপন খবর ফাঁস করলেন অভিষেক বচ্চন।
জুনিয়র বচ্চন বলেছেন, ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। অনেক কিছু শিখেছেন, এখনও শেখায় কোনও ক্লান্তি নেই তাঁর। জেনেছেন, ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য আসে না। এই ভাবনাই তাঁকে মাটির ওপর পা রেখে চলতে সাহায্য করে।
অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের ছেলে অভিষেক বলিউডে পা রাখেন ‘রিফিউজি’ ছবি দিয়ে। তারপর থেকে তাঁর কেরিয়ারে হিটের থেকে ফ্লপের সংখ্যা ঢের বেশি। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইকে বিয়ের পরেও অভিষেকের ক্যারিয়ারে আহামরি কোনও উন্নতি হয়নি। বরং স্ত্রীর আলোয় তিনি ঢাকা পড়ে গেছেন বলেই সমালোচকরা মনে করেন। সফল স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মন কষাকষির ছবিও ক্যামেরার সৌজন্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
অভিষেক খোলাখুলি জানিয়েছেন, একটা ছবি ফ্লপ করলেই প্রযোজকরা আর আপনার ফোন ধরবেন না। তখন আপনি কার ছেলে, তা আর গুরুত্ব রাখে না। ছবি ফ্লপ হওয়া বিশ্বের সবথেকে জঘন্য অনুভূতি। তা মানুষ হিসেবে আপনাকে শেষ করে দেয়। তবে যদি চান, জীবনে ভাল কিছু ঘটুক, তবে জীবনের ভাল দিকে বিশ্বাস রাখতে হবে। কষ্টকর সময়ে সেন্স অফ হিউমারই তাঁকে অক্সিজেন দেয় বলে অভিষেক জানিয়েছেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি বাছার ক্ষমতা নিয়ে যে সব নেগেটিভ কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়, তাতে নির্বিকার অভিষেক। তাঁর বিশ্বাস, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হলে সব কিছুর জন্য তৈরি থাকা উচিত। তবে সব কিছুই একটা সীমা পর্যন্ত তিনি সহ্য করেন বলে জুনিয়র বচ্চন জানিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Leave a Reply