সাবিনা ইয়াসমিন। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি দেশীয় সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ২০১৬’। পদক প্রাপ্তি ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি
ফিরোজা বেগমের জন্মদিনে পুরস্কৃত হলেন, কেমন লাগছে?
ফিরোজা বেগমের মতো গুণী শিল্পীর জন্মদিনে তার নামে প্রবর্তিত পুরস্কার পাওয়ায় শিল্পীজীবন ধন্য মনে হয়েছে। একই সঙ্গে এটাও উপলব্ধি করেছি, কিছু প্রাপ্তি আপনজনের কথা মনে করিয়ে দেয়, মনকে অশ্রুসিক্ত করে। ফিরোজা বেগম তেমনই একজন, আমার গানের ঈশ্বর বলেই তাকে মনে করি। এখনও মনে পড়ে চার বছর আগের কথা। যেদিন আরও একবার মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম তার অনবদ্য পরিবেশনা। কমল দাশগুপ্তর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি গেয়েছিলেন বেশ কিছু কালজয়ী গান।
এই প্রাপ্তিতে নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন কি?
যে কোনো প্রাপ্তি নতুন কিছু করার প্রেরণা জোগায়। এক জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি এবং প্রতিবারই আরও নতুন কিছু করার আকাঙ্ক্ষা জেগেছে মনে। কিন্তু যে আয়োজনই করি না কেন, তার মূলে থাকে ভক্ত-শ্রোতার ভালো লাগার বিষয়টি। যাদের ভালোবাসা আমাকে আজও গান গাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাদের নতুন নতুন আয়োজন করতে চাই, গাইতে চাই মন-প্রাণ উজাড় করে।
ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য নতুন কোনো আয়োজন করছেন?
কয়েক দশকের জনপ্রিয় গানগুলো একত্রিত করে অ্যালবাম তৈরি করার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি এমন কিছু গান রাখতে চাই, যেগুলো অনেক দিন শ্রোতারা শোনার সুযোগ পাননি। ইতিমধ্যে কিছু গান সংগ্রহ করেছি। গানের কথা ও সুর অবিকৃত রেখে নতুন করে সঙ্গীতায়োজনে এগুলো রেকর্ড করব। গানের সংখ্যা বেশি বলে সংকলনটি কয়েক খণ্ডে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের পরিকল্পনা আছে।
বাঁধনের সঙ্গে আপনাকে আবার কবে দেখা যাবে?
এটা তো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। বাঁধনের একক অ্যালবামে তিনটি গান গেয়েছি। এর মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হলে হয়তো আবার আমাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। বেশ কিছু টিভি অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। তেমন কোনো আয়োজন হলে মা মেয়েকে আবার একসঙ্গে দেখবেন দর্শক।
Leave a Reply