শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষাই নয়, বরং শারীরিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্যও ওজন কমানো জরুরি। কিন্তু প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম কিংবা ডায়েট করার সময়ই পান না। চিন্তার কিছু নেই। শুধু খাওয়া কমিয়ে কিংবা ব্যায়াম করেই যে সবসময় ওজন কমানো যায় এমনটি নয়। বরং আমাদের শরীরের বিশেষ কিছু পয়েন্টে নিয়মিত ম্যাসাজ করেও ওজন কমানো সম্ভব। এটি হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি চর্বি জমা হওয়ার হাত থেকেওিআমাদের শরীরকে বাঁচায়।
দেখে নিন ওজন কমাতে শরীরের কোন কোন পয়েন্টে কীভাবে ম্যাসাজ করবেন-
নাক এবং মুখের ঠিক মাঝখানে
ওজন কমাতে নাক এবং মুখের মাঝ বরাবর ঠোঁটের উপরিভাগে ম্যাসাজ করার বিকল্প নেই। এই অংশে ম্যাসাজ করলে খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা একেবারেই কমে যায়। শুধু তাই নয়, উদ্বেগ কমাতেও ভূমিকা রাখে এই ম্যাসাজ। তবে দিনে দুইবার পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
হাত
হাতে কনুইয়ের নিচের অংশে ম্যাসাজ করলে তা শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ বের করে দেয়। একইসঙ্গে তা পরিপাক তন্ত্রকেও ভালো রাখে। কেননা এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকেই শরীরে এনার্জি আসে। তাই ভালো উপকার পেতে দিনে ২-৩ বার এক মিনিট করে হাতে ম্যাসাজ করুন।
হাঁটুর নিচে
হজমশক্তি বাড়াতে হাঁটুর নিচে ম্যাসাজ করা জরুরি। এ অংশে ম্যাসাজ করলে তা শরীরের যে কোন স্থানের ব্যাথাযুক্ত ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। এই পয়েন্টকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘দ্য পয়েন্ট অফ হান্ড্রেড ডিজিজেস’। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত এই পয়েন্টে ম্যাসাজ করলে সপ্তাহে এক পাউন্ড করে ওজন কমাতে পারেন।
ম্যাসাজ করতে প্রথমে নিজের বাঁ হাঁটুর ওপর ডান হাতের আঙুলগুলো রাখুন। অনামিকা এবং কড়ে আঙুলের ঠিক মাঝে এই পয়েন্ট পাবেন। হাঁটু এবং পায়ের মাঝে একটু ঠালা মতো একটা অংশ আছে সেটাই এই পয়েন্ট। দিনে ১০ মিনিট করে দুই হাঁটুর নিচে ক্লক-ওয়াইজ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের সময় সামান্য একটু ব্যথা হলে বুঝবেন একদম ঠিক জায়গাতেই ম্যাসাজ করছেন।
কান
কানের লতিতে ম্যাসাজ করলে হজমশক্তি দ্রুত বাড়ে। এজন্য বুড়ো আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে দিনে তিনবার ক্রমাগত তিন মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এতে করেও ওজন কমবে।
তথ্যসূত্র: এই সময়।
Leave a Reply