ক্লান্তি কাটাতে এবং সৌন্দর্য ফেরাতে হরেক রকম স্পা এবং ম্যাসাজের পরামর্শ দেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে কিছু স্পা এবং ম্যাসাজের পদ্ধতি পরিচিত। কিছু আবার অদ্ভুত হলেও জনপ্রিয়। সারা বিশ্বের এমনই কিছু স্পা এবং ম্যাসাজের পদ্ধতির দিকে নজর ফেলা যাক।
এলিফ্যান্ট ম্যাসাজ:
বাচ্চা হাতির পায়ের তলায় দিয়ে শরীরে ম্যাসাজ তাইওয়ানে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ প্রশিক্ষণ পাওয়া বাচ্চা হাতি শুঁড় দিয়ে মৃদু আঘাত করে পেশি তরতাজাও করে দেয়। তবে খুব কম ওজন যাদের, তাদের এই ম্যাসাজ নেওয়ার অনুমতি নেই।
ক্যাকটাস স্পা:
মেক্সিকানদের রূপচর্চার শতাব্দী প্রাচীন রীতি এটি। ক্যাকটাসের কিছুটা অংশ কেটে কাঁটাগুলো তুলে নেওয়া হয়। তারপরে ভেষজ তেল ওই কাঁটা গাছের গায়ে মাখিয়ে জোরে জোরে ঘষা হয় শরীরে। ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলতে এই স্পা নাকি খুবই উপকারী।
সাউন্ড বাথ:
মানসিক ক্লান্তি কাটানোর সেরা উপায় যে গান শোনা, সেটা অনেকই মানেন। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘সাউন্ড হিলার’ ক্লিনিকগুলোর দাবি, সঙ্গীত দিয়ে কাটানো যায় শরীরের ক্লান্তিও। ক্লিনিকের বিশেষ ভাবে সাজানো ঘরে শোয়ানো হয় মক্কেলকে। হালাক আলোর মধ্যে বাজানো হয় বিশেষ ধরনের ঘুমপাড়ানি মিউজিক। ক্লিনিকগুলোর দাবি, ঘুম থেকে উঠলেই শরীর হয়ে যাবে তরতাজা।
নুডলস বাথ:
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! পশ্চিম জাপানে নুডলস বাথ খুবই জনপ্রিয়। অতিকায় বাটির মতো পাত্রে উষ্ণ পানি এবং নুডলস ঢালা হয়। তারপরে যিনি নুডলস বাথ নিতে চান, তাকে ওই বাটির মধ্যে শুইয়ে দেওয়া হয়। নুডলসে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন থাকে। তাই নুডলস বাথ ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করে।
স্নেক ম্যাসাজ:
ইজরায়েলে পেশির ক্লান্তি সারানোর ম্যাসাজ এটি। গায়ের ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয় আট ফুট লম্বা নির্বিষ সাপ। দেহের যেখানে পেশির ক্লান্তি সবচেয়ে বেশি, সাপ নাকি নিজেই খুঁজে নেবে সেই জায়গা। তার ওপরে বারবার চলাচল করে, চাপ ফেলে তরতাজা করে তুলবে পেশিকে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্য অন্যরকম। দেহের ওপরে জীবন্ত সাপ ঘুরে বেড়ানোয় যে পরিমাণ অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়, তাতেই ঝিমুনি ভাব কেটে যায়।
সূত্র: আজকাল
Leave a Reply