ডেইলি চিরন্তন:ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা অনেক জরুরি। এ কারণে স্বাস্থ্যকর ডায়েটে তাদের এমন কিছু খাবার রাখতে হয়, যাতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাইতো বিশেষজ্ঞরা এ সময় তাদের খাদ্য তালিকায় চর্বিহীন প্রোটিনযুক্ত খাবার, সতেজ শাকসবজি এবং যবের তৈরি বিভিন্ন খাবার রাখার পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্যকর এসব খাবারের মধ্যে ওটস অন্যতম। এতে বেটা-গ্লুকান নামে এমন এক ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া শরীরের আরও বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও ভূমিকা রাখে ওটস।
জেনে নিন ডায়াবেটিসে ওটস কেন খাবেন-
শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বহাইড্রেড জাতীয় অন্য যে কোন খাবারের তুলনায় ওটস খাওয়া ভালো। কারণ এর বেটা-গ্লুকান রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায়
ডায়াবেটিস হলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তখন এইসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে ওটস। এতে বিদ্যমান বেটা-গ্লুকান ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের হাত থেকে বাঁচিয়ে আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। গবেষকরা বলেছেন, প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা শতকরা ৮-২৩ ভাগ কমে যায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে কমে।
ষতিগ্রস্থ কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়
ওটসে অ্যাভেনানথ্রামিডস নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সুরক্ষা করে। দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশনের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ইমিউন প্রতিক্রিয়ায় উন্নতি সাধন করে
ওটসের বেটা-গ্লুকান ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন থেকে ইমিউন প্রতিক্রিয়ায় উন্নতি সাধন করে। শুধু তাই নয়, যে কোন ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি। যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড হসপিটাল অ্যান্ড ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কম মাত্রার ক্যালরি, উচ্চ মাত্রার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং কিছু মূল্যবান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ওটস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এবং দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎকরা ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি করে ওটস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
Leave a Reply