রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :::
ডেইলি চিরন্তন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য সিলেটসহ দেশ বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা ইমেইলে যোগাযোগ করুন
শিরোনাম ::
শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়,গ্রেপ্তার ৪ রেকর্ড গড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন জো রোগান আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবির ২ শিক্ষকসহ ৯ জন বহিষ্কার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদার কোন শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে, জানালেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের ৬ষ্ট প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদজাপন ‘মাজার ভাঙচুর করে সুন্নি জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না’ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার কঠোর বার্তা পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেসির মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মায়ামি কোচ বন্যায় আরো মৃত্যু, সবচেয়ে বেশি কুমিল্লায় প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন নোবেল বিজয়ী থেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য উপদেষ্টা যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশি তরুণের সেরা উদ্ভাবকের তালিকায় অবস্থান

বাংলাদেশি তরুণের সেরা উদ্ভাবকের তালিকায় অবস্থান

ehsan_bdpratidinবিশ্বখ্যাত কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) জার্নাল টেকনোলজি রিভিউ ঘোষিত ২০১৬ সালে ৩৫ বছরের কম বয়সী সেরা ৩৫ জন উদ্ভাবকের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাঙালি তরুণ এহসান হক।

এর আগে এই সম্মাননা যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ, ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, আইম্যাক ও আইপ্যাডের ডিজাইনার জোনাথন আইভ, লিনাক্সের জনক লিনাস টরভাস, ইয়াহুর সহপ্রতিষ্ঠাতা জেরি ইয়াং, টুইটারের জ্যাক ডরসে প্রমুখ। বলা যায় এমআইটির এই তালিকার অনেকেই পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে বদলে দেওয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বাঙালি এহসান হকের কাজ হলো মানুষের কথা ও শারীরিক ভাষার গাণিতিক মডেল বের করে সেটাকে কাজে লাগানো। এর মাধ্যমে তৈরি হবে এমন যন্ত্র, যা অটিজম বা ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের আলাপচারিতায়, চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতিতে, এমনকি বিতার্কিক বা বক্তাদের তাঁদের বক্তৃতার ভুলগুলো সংশোধন করতে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে বানানো হয়েছে একটি বিশেষ চশমা, যা বক্তৃতা দেওয়ার সময় বক্তাকে আরও সাবলীল হতে সাহায্য করে।

মানুষে মানুষে কথোপকথন বা আলাপচারিতা অনেকটা দ্বৈত নাচের মতো। আমরা একে অন্যের কথাবার্তা, আকার-ইঙ্গিত, ভাবভঙ্গি বুঝে কথার পিঠে কথা বলে আলাপচারিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। যদিও আলাপচারিতার এই ‘মুদ্রা’ বা কৌশল কোথাও লেখা নেই, কেউ জানে না, কিন্তু সবাই (মানুষ) বোঝে।

এহসানের বানানো মাক (MACH-My Automated Conversation coacH) ও লিসা (LISSA-Live Interactive Social Skills Assistant) প্রোগ্রাম তাৎক্ষণিকভাবে বলে দিতে পারে একজন মানুষ কথার মধ্যে কতবার ‘এ্যা, আহহহ’ ইত্যাদি বলেছে। কথা বলার সময় তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিক না আরোপিত। তার শব্দ প্রক্ষেপণ কী যথাযথ?

এমআইটি মিডিয়া ল্যাবে কাজ করার সময় এহসান প্রথমে বানান মাক, যা এমআইটির শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। পরে সেটিকে বিকশিত করে ভিন্নভাবে সক্ষম কিংবা অটিস্টিক ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য তৈরি করেছেন লিসা।

মানুষের মুখাবয়ব পর্যালোচনা করে মানুষের অভিব্যক্তি নির্ণয় করার কাজটি কেমন করে হয়, সেটি ব্যাখ্যা করে এহসান বললেন, ‘মূল কথাটি সোজা, উদাহরণের মাধ্যমে শিক্ষা। যেমন মানুষের মুখটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বলের মতো গোলাকার। কিন্তু তারপরও একটা অস্পষ্ট ছবিতে একজন মানুষের মুখ আর ফুটবল পাশাপাশি রাখলে আমরা খুব সহজেই বলে দিতে পারি কোনটা ফুটবল এবং কোনটা মানুষের মুখ। মানুষের পক্ষে এই কাজটা খুব সহজেই করে ফেলা সম্ভব, কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে মানুষের মুখ দেখে অভ্যস্ত। ঠিক তেমনিভাবে মেশিনকে অনেকগুলো মানুষের মুখের ছবি উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হলে আধুনিক গাণিতিক পরিভাষা ব্যবহার করে মেশিনের পক্ষেও মানুষের চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব। তবে কাজটি মোটেই সোজা নয়।’

সহজ নয় বলেই তো কাজটি করার জন্য এমআইটির টিআর৩৫-এ নির্বাচিত হয়েছেন এহসান হক। ব্যবসায়ী বাবা এনামুল হক ও মা প্রয়াত সৈয়দা লুৎফে সাবার তিন সন্তানের একজন এহসান হক! পড়াশোনা ঢাকার উদয়ন স্কুল এবং পরে ঢাকা কলেজে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। ইউনিভার্সিটি অব মেমফিস থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর | ২০০৮ সাল থেকে এমআইটির বিখ্যাত মিডিয়া ল্যাবে কাজ করেন—মানুষের মুখাবয়ব ও কণ্ঠ বিশ্লেষণ করে যন্ত্রকে মানুষের আবেগ শনাক্ত করতে সাহায্য করা নিয়ে। ২০০৯ সালে ওয়াল্ট ডিজনির গবেষণাগারে প্রথম স্বয়ংক্রিয় রোবট—যা দেখতে, শুনতে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম—তৈরিতে সাহায্য করেছেন। ২০১০ সালে আইবিএম ওয়াটসন গবেষণাগারে তৈরি করেন বুদ্ধিমান বিজ্ঞাপন যন্ত্র, যা পথে চলতে থাকা মানুষের গতিবিধি, লিঙ্গ, বয়স, পরনের কাপড়ের রং ও ধরন বুঝে মানানসই বিজ্ঞাপন প্রচার করে! এরপর ২০১৩ সালে তৈরি করেন ‘মুড মিটার’, যা মানুষের চেহারা দেখে বলে দেয় রাগ না খুশি। ২০১৩ সালে এমআইটি থেকে পিএইচডি করার পর যোগ দেন ইউনিভার্সিটি অব রসেস্টারে। এখন সেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  



© All rights reserved © dailychironton.com
Design BY Web Nest BD
ThemesBazar-Jowfhowo