আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ (৩য় পর্ব)-মোঃ আরিফ মিয়া
আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ (৩য় পর্ব)-মোঃ আরিফ মিয়া
ডেইলি চিরন্তনঃ আজ হোষ্টেল জীবন ও ছাত্রদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে কিছু বলব।
হোষ্টেলে তিন বেলা খাবার ছিল। সকালে এক পিছ মাছ বা মোরগের মাংস এক পিছ আলু ও ঝোল আর ডাল আর ভাত। ডাল আর ভাত ইচ্ছে মত। দুপুরে চল(ভাত, ডাল বা ভাজি। ডাল এতই পাতলা মুখ হাত ধোয়ার জন্য পানি প্রয়োজন ছিল না। আমরা তিন রুম মেইট দুপুরে সাধারণত হোষ্টেলে খাইতাম না বাড়ী থেকে ভালো অংকের টাকা পাইতাম। তিনজনই স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। আমরা বিকালে তিনজন হোষ্টেলের সামনে থেকে বার আনা দিয়ে বন্দর গিয়ে রিস্কায় নামতাম হোটেল ওরিয়েন্টাল এর দোতলায় গিয়ে বার আনা হাফ চিকেন বিরয়ানী খাইতাম পেট ভরে যাইত।মাঝে মধ্যে হোটেল মডার্ন এ গিয়া খাইতাম।সে সময়ে সিলট শহরে এই দুই হোটেল ছিল সেরা। তখন চা ছিল পনেরো পয়সা পরোটা পনেরো পয়সা সেমাই চার আনা,পান কেক চার আনা পান পাচ পয়সা,একটা ষ্টারসিগারেট পাচ পয়সা।আন্দাজ করেন সে সময় কেমন ছিল।সমাজে ছাত্রদেররকে মানুষ কি পরিমান আদর করতেন লিখে বুঝাতে পারবোনা। এক গ্রামের একজন এস এস সি পাশ করলে আশপাশের কয়েক গ্রামে মানুষ বলা বলি করত অমুক গ্রামের অমুকের ছেলে কলেজে পড়ে।পরিবার আত্মীয়স্বজন সবাই গর্ব অনুভব করতেন। স্কুল জীবন থেকে মানুষের চিঠি লিখে দিলে মোরগ জবাই করে খাওয়াত আদর করত এখন ও সেই দিনগুলো চোখে ভাসে। বন্দর পয়েন্ট ছিল ছাত্র ইউনিয়ন এর আড্ডা বিকালে সবাই সেখানে জমা হত।আমরা হোটেলে খেয়ে বিকালে ওখানে আড্ডা দিতাম।পরে হোষ্টেলে ফিরতাম। সিলেট শহরে দিলশাদ,রংমহল ও লালকুঠি এই তিনটি সিনেমা হল ছিল। প্রতিটি হলে নুতন ছবি আসলেই দেখতাম। ( চলবে)
এ সংবাদটি এ পর্যন্ত 455 জন পাঠক পড়েছেন