স্টাফ রিপোর্টার::
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার অন্তর্গত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৩ নং তেতলি ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহসভাপতি ও বদিকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বিরের ছেলে মো. এনায়েত হোসেন সাব্বির-কে খুঁজছে পুলিশ। তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ করেছেন সাব্বিরের ভাই মো. ইফতেখার হোসেন রিপন ও বোন তাসমিয়া তাবাস্সুম ডালিয়া। সাব্বির দীর্ঘদিন থেকে পলাতক রয়েছে, ফলে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়েও তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সাব্বিরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, নাশকতা, মারপিট, রাজনৈতিক সহিংসতা, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। পুলিশের তালিকায় সে আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, সাব্বিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা
অভিযোগে দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং ১০ তাং ১১/১০/২২, দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৩০২/৩৪ ধারার মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত গত ৭ সেপ্টম্বর ২০২৩ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন এবং সাব্বিরকে গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রেরণ করেন । এদিকে, আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নতুন করে নীল নক্সা তৈরি করে গোপন তৎপরতা শুরু করেছে । আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করাই হচ্ছে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। গোপনে নেতাকর্মী, ক্যাডারদের সংগঠিত ও সক্রিয় করছে দলগুলো । এ জন্য লক্ষাধিক কর্মী নিয়োগের ছক কষেছে তারা। বিদেশ থেকে বিশেষ করে লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে এনজিওর মাধ্যমে বিরাট অঙ্কের টাকার ফান্ড সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিকদের গড়ে ওঠা আন্দোলনে উস্কানি ও মদদ দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটানোর নীল নক্সা তৈরি করেছে বিএনপি এমনই তথ্য জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার), পিপিএম জানান, জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা, ব্যক্তিসত্তা বা প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ শেখ হাসিনা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই ওয়ারেন্টভুক্ত সকল পলাতক আসামীদের খোঁজা হচ্ছে। এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে। সাব্বিরের বিরুদ্ধে আদালতের একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে তার বাড়ি ও সন্দেহজনক সকল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। আত্মগোপনে থাকা আসামী সাব্বিরের ছোট বোন তাসমিয়া তাবাস্সুম ডালিয়া ও বড় ভাই মোঃ ইফতেকার হোসেন রিপন জানান, তার ভাই দীর্ঘদিন থেকে বাড়িতে নেই, একথা বলার পরও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়িতে এসে তল্লাশির নামে হয়রাণি করে এবং সাব্বিরকে এনে না দিলে তাদেরকেসহ বাড়িতে যারা থাকেন, তাদের সবাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের হুমকী প্রদান করে। তারা আরো জানান, তাদের ভাইকে না পেয়ে ঘরের লোকদের ধরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল পুলিশ, তারা বাধা প্রদান করলে পুলিশ তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ঘরের মালামাল তছনছ করে বলে, সাব্বিরকে খুজে পেলে ধরে এনে ক্রসফায়ার করবে। আর না পেলে পরিবারের সবার খবর আছে বলে হুমকি প্রদান করে। ফলে পরিবারের সবাই ভীত সন্তস্থ্য। তবে পরিবারের লোকদেরকে হুমকী দেয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ।
Leave a Reply