ডেইলি চিরন্তনঃ ভেবেছিলাম মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে লেখা শুরু করে দিব। কিন্তু বন্ধু রেজাউর রহমান চৌধুরী কমেন্টে দাবী করেছে বন্ধুদের নিয়ে কিছু লেখার জন্য। বায়ান্ন বছর আগের কথা অনেক বন্ধুর নামও অনেক গঠনা মনে নাই। যাদের কথা মনে নাই তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।সিনিয়রদের মধ্যে রুম মেইট নছীর আলী,সুন্দর মিয়া,সিতু মিয়া,কোরেশ খান, গফফার মিয়া,আবদুল মতিন। সহপাঠীদের মধ্যে মাহমুদ, মাসুক,ইশতিয়াক, তাজ, রেজাউর রহমান চৌধুরী, নোমান, মোক্তার, ওদুদ, সাজ্জাদুর, মোবারক, সৈয়দ আলী আহমদ, সত্তার সহ অনেক কলেজে হাফিজ, গফুর, মঈনুল ইসলাম চৌ,মুকুল আশরাফ, আবদুল মোনায়েম নেহেরু, আরও অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নাম মনে আসছে না যাদের নাম বাদ পড়ছে দুঃখিত হবেন না আমি বই লেখার সময় সবার নাম যোগাড় করার চেষ্টা করব। আমার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ এ ব্যাপারে আমাকে সবাই সাহায্য করবেন।কলেজে নিয়মিত ক্লাশ করা লাগত ৬০% এর নীছে ক্লাসে উপস্থিতি হলে কোন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাইত না।৬০% থেকে ৭৪% হলে পনেরো টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাইত৭৫% হলে আর কোন অসুবিধা ছিল না। এজন্য একজনের অনুপস্থিতিতে আরেকজনের প্রক্সি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল।সব স্যারের ক্লাস এ পারা যেত না।যেমন লজিকের বিমল বাবু স্যার,ইংরেজীর আনিসুল হোক চৌঃ স্যার বাংলার আব্দুল মন্নান সৈয়দ স্যার,পলিটিকাল সাইন্স এর হুদা স্যার ও ম্যাডাম নাম মনে নাই ইকনমিক্স এর স্যার নাম মনে নাই। হোষ্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন লজিকের আতিকুর রহমান স্যার তিনি সহ আরও নাম মনে আসছে না অনেক স্যার ছিলেন যাদের ক্লাসে আমরা প্রক্সি দিতাম। উপস্থিতি দেওয়ার পরে আতিকুর রহমান স্যার সহ অনেকের ক্লাস থেকে পিছনের দরজা দিয়া বের হয়ে যাওয়ার গঠনা ঘটত।মাঝে মাঝে পিছনের দরজা বন্ধ করেও আটকাতে পারতেন না।হোষ্টেলে রাত এগারোটায় বিদ্যুৎ লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিত চৌকিদার এটা নিয়ম ছিল। আমরা আবার সুইচ চালু করে দিতাম। হোষ্টেলের নীছ তলায় ছিল স্যারের বাসা। তিনি মাঝে মাঝে খুব গরম হতেন চৌকিদার ভয়ে নাম বলতো না।আমরা পরিস্কার অস্বীকার করতাম। সহজ সরল স্যারকে আমরা অনেক ফাকি দিয়েছি।
Leave a Reply