সোমবার, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয় Reviewed by Momizat on . করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয় ডেইলি চিরন্তনঃ রোজা পালন করায় দীর্ঘ সময় পানাহার ছাড়া থাকতে হয় । তবে যাতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে সে বিষয় নজর করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয় ডেইলি চিরন্তনঃ রোজা পালন করায় দীর্ঘ সময় পানাহার ছাড়া থাকতে হয় । তবে যাতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে সে বিষয় নজর Rating: 0
You Are Here: Home » ফিচার » করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয়

করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয়

করোনাকালিন রমজানে রোগ প্রতিরোধক সাত পানীয়

ডেইলি চিরন্তনঃ রোজা পালন করায় দীর্ঘ সময় পানাহার ছাড়া থাকতে হয় । তবে যাতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে সে বিষয় নজর দিতে হবে। তাই কিছু খাবার ও পানীয় হতে পারে রোগ প্রতিরোধক। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সুবিধামতো সময়ে পান করতে পারেন কিছু দরকারি পানীয়

সজনে পাতার পানীয়:এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, আমিষ, ভিটামিন ‘এ’, পটাসিয়ামের ভালো উৎস এটি। পাশাপাশি এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফলিক এসিড, জিংক, সেলেনিয়াম, কপার, ভিটামিন বি৬, আয়রন ও অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা দেহকে সুস্থ করতে এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে। সজনে পাতা সিদ্ধ করে পানি পান করা যেতে পারে অথবা পাতা পাঁচ-ছয় দিন রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে চা হিসেবে পান করা যায়।

লেবু পানি:রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে, শ্বাসনালীর সংক্রমণ রোধে এবং সাধারণ সর্দি-কাশি কমাতে ভিটামিন ‘সি’ খুবই কার্যকর। এর ভালো উৎস লেবু। কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করা যেতে পারে।

­আদা পানিঃ আদায় সক্রিয় উপাদান জিঞ্জেরল রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তা ছাড়া আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, যা যে কোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। পানিতে আদা সিদ্ধ করে বা কুসুম গরম পানিতে আদার রস মিশিয়ে পান করা যায়।

দারুচিনি ও লবঙ্গ পানি:দারুচিনিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধক। অন্যদিকে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন হ্রাস করতে এবং শ্লেষ্মা বের করে দিতে সহায়তা করে লবঙ্গ। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি পান করা যায় কিংবা কুসুম গরম পানিতে দারুচিনি ও লবঙ্গ গুঁড়া মিশিয়ে পান করা যায়।

হলুদের পানীয়:বহুকাল আগে থেকে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহৃত হতো। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে এটি কাজ করে থাকে। কাঁচা হলুদ বেটে বা হলুদ গুঁড়া করে কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আবার দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার প্রচলনও আছে।

মসলা চা:বিভিন্ন মসলা, যেমন আদা, দারুচিনি, কালিজিরা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসী পাতা, তেজপাতা ইত্যাদি মিশিয়ে চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এই পানীয় রোগ প্রতিরোধক হিসেবে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ফল বা সবজির জুসঃ আপেল, করলা, কমলা, মাল্টা বা যে কোনো টক ফলে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। তাই এসব ফল জুস করে খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উপরোক্ত পানীয়গুলোতে কাঁচা রসুন, মধু, কালিজিরা আস্ত বা গুঁড়া করে ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা রসুনে অ্যালিসিনের উপস্থিতি একে রোগ প্রতিরোধক উপাদানে পরিণত করেছে।

কালিজিরায় বিদ্যমান অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো যে কোনো ইনফ্ল্যামেশন রোধে কার্যকর। এ ছাড়া মধুতেও রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। লেখক: পুষ্টিবিদ,সুত্র-ইত্তেফাক

এ সংবাদটি এ পর্যন্ত 510 জন পাঠক পড়েছেন

About The Author

Number of Entries : 415

Leave a Comment

সম্পাদক ও প্রকাশক মো: ইকবাল হোসেন
অফিস: ৯ নং সুরমা মার্কেট,৩য় তলা সিলেট।
ইমেইল-dailychironton@gmail.com
ওয়েব-www.dailychironton.com
মোবাইল-০১৭১৬-৯৬৯৯৭৮

© 2015 Powered By dailychironton.Designed by M.A.Malek

Shares
Scroll to top