রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তোমাদের আজকের এ অবস্থানে পৌঁছানোর পেছনে রয়েছে তোমাদের মা-বাবা, শিক্ষকসহ সমাজ, দেশ ও জনগণের বিপুল অবদান। তোমরা তাদের কাছে ঋণি। তোমরা সমাজ এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তোমাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও কর্ম দিয়ে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সবসময় নৈতিক মূল্যবোধ, বিবেক ও দেশপ্রেম জাগ্রত রাখবে। কর্ম ঘিরে তোমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো না কেন, এ দেশ ও জনগণের কথা ভুলবে না।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, এ দেশের শিক্ষিত ও বিভিন্ন পেশার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের বেশিরভাগই কৃষকের সন্তান। কৃষি আয় থেকেই তাদের বিদ্যার খরচ যোগানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যার সাগর পার হওয়ার পর অনেকেই নৌকার খোঁজ রাখেন না।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুর অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
কৃষিকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আবহমান বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিশে আছে কৃষির সঙ্গে। বাঙালি জাতির শেকড় নিহিত কৃষির মধ্যে। খাদ্য চাহিদা ও আমিষের চাহিদা পূরণ, শিল্পোৎপাদন, কর্মসংস্থানসহ রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষিখাতের অবদান উল্লেখযোগ্য।
Leave a Reply