প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশে ডিজিটাল পাসপোর্ট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে ৬৪টি জেলায় ৭১টি পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের মাধ্যমে সরকার জনসেবায় প্রতিশ্রুত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ করে এবং এ উপলক্ষে অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারিকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে পাসপোর্ট পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তরিত করেন। তিনি এ অধিদপ্তরকে গতিশীল করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর সর্বপ্রথম বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে তার সরকার ২০০৯ সালে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং মেশিন রিডেবল ভিসা প্রবর্তনের জন্য এমআরপি- এমআরভি প্রকল্প অনুমোদন করে।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে কর্মকৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে এখন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছি। কিন্তু এর চেয়েও উন্নতমানের সিএইচআইপি সম্বলিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ই-পাসপোর্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা ই-পাসপোর্ট চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর নাগরিক সেবায় নিয়োজিত হবেন এবং এ অধিদপ্তরের প্রতিটি সদস্য তাদের অর্জিত জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে পাসপোর্ট সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন। তিনি পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৭-র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
Leave a Reply