উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজিয়া আফরিন জেমী ও একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তার মেয়ে নূর আফসানা মাহজাবীন মাইশা।
ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম জানান, এবার তাদের ধুনটের সেরা গুরু-শিষ্য মনোনীত করা হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামে তাদের বাস। কোচিং এবং প্রাইভেট পড়ানোর সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের এ প্রতিযোগিতায় না আনার নির্দেশ রয়েছে। এসব যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক সাজিয়া আফরিন জেমীকে এ বছরের সেরা শিক্ষক নির্বাচন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে গঠিত একটি কমিটি।
শিক্ষক সাজিয়া জানান, নাচ-গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই তার কাজের মাধ্যম। সবার মধ্যে চেতনা সৃষ্টির জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে নেন। এতে তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করা যায় সহজেই। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেন সাজিয়া। শিশুরা নিজেরা জানে না কিভাবে কোন কাজে অংশ নিতে হয়। তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন সাজিয়া।
তিনি বলেন, “খুব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্লাসের কার্যক্রম। বই ঠিকমতো পড়া। বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য নানা শিক্ষাও। শিক্ষার্থীদের বইয়ের পাশাপাশি বাইরে থেকেও কিছু শেখার জন্য মনোযোগী হতে অনুপ্রেরণা যোগাই। প্রাইভেট পড়ানোর অভ্যাস ছাত্রদের স্কুলবিমুখ করে বলে মনে করি। নিজে প্রাইভেট পড়িনি। আমার শিক্ষার্থীদেরও আমি প্রাইভেটে না যেতে উৎসাহিত করি।”
আর তার সব কাজে সব সময় আগে থাকে তারই মেয়ে মাহজাবীন মাইশা।
মাইশার বক্তব্য, “মার কাছেই সব শিখেছি। আর শুধু নিজে শিখলে কি হয়? তাই মার মতো অন্যদেরও সহযোগিতা করি। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে গান, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা এসব করি।”
শিক্ষক সাজিয়া জানান, তাদের বিদ্যালয়টি ১৯১৪ সালে নিম্নমাধ্যমিক হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর ১৯১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। বিদ্যালয়টিকে আদর্শ করে গড়ে তুলতে চান তিনি।
Leave a Reply