ডেইলি চিরন্তন:সিলেটে বদরুল আলমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন খাদিজা বেগম নার্গিস। এই ছাত্রলীগ নেতার হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন খাদিজা। চলতি সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সিলেটে ফেরেন তিনি।
রবিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান, আগামী ১ মার্চ যুক্তিতর্কের জন্য দিন রাখা হয়েছে। এরপর রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করা হবে।
সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বেলা পৌনে ১১টার দিকে খাদিজা আদালতে আসেন। আসামি বদরুলকে তার আগেই কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। খাদিজাসহ এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হলো।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়।
হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়ায় তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হন খাদিজা। কিন্তু শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্কয়ার থেকে তাকে পাঠানো হয় সাভারের সিআরপিতে। সেখান থেকে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার বাড়ি ফেরেন তিনি।
Leave a Reply