রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলের পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামসহ ৪ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া চারজন হলেন- রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকি। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেছিলেন।
আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সালাম, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (নলকূপ পরিদর্শন) জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, প্রকৌশলী আবু আহমেদ শাকি, দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে ঢাকনাবিহীন কয়েকশ’ ফুট গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের জিহাদ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা করেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরদিন বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন তরুণের প্রচেষ্টায় জিহাদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জিহাদের মৃত্যুর ওই ঘটনা সে সময় সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এর জন্য দায়ীদের শাস্তিরও দাবি ওঠে। এর পর জিহাদের বাবা নাসির ফকির দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান গত বছরের ৩১ মার্চ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার সাক্ষী ছিলেন ২৭ জন।
গত বছরের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দ বিধির ৩০৪(ক) ধারায় অভিযোগ গঠন হয়।
Leave a Reply