চালকের সাজার রায়ের পর পরিবহন ধর্মঘটে জনভোগান্তির কথা তুলে ধরে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
তিনি বলেছেন, গাড়ি চালকেদের অবহেলার কারণে প্রতিদিন অগণিত মানুষ নিহত হচ্ছে। কথায় কথায় ধর্মঘট করে তারা জনগণকে জিম্মি করে ফেলে। সরকারকে তা দমন করতে হবে। তাদের আন্দোলনের হুমকিতে ভীত হলে চলবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ এসব কথা বলেন। খুলনার ব্যবসায়ী সৈয়দ খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভিন্ন দল থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকার সময় চালকদের অবহেলার কারণে কোনো মানুষের মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করেছিলাম। সে আইন রাখতে পারিনি। বর্তমান আইনে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাও বহাল রাখা যাবে কি না সন্দেহ।’
আইন বাস্তবায়ন করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক কমবে বলে দাবি করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এইচএম এরশাদ বলেন, মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, পরিবর্তন চায়। দেশবাসী শান্তিতে নেই। এদেশকে আবার উন্নয়নের জোয়ারে ভাসাতে হলে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে জাতীয় পার্টিকে অবশ্যই ক্ষমতায় যেতে হবে।
যোগদানকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খুলনা একসময় অবহেলিত একটি শহর ছিল। সেটাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মংলা পোর্ট, সাতক্ষীরা-খুলনা রোডসহ উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় তা আমার শাসনামলেই হয়েছে।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার মনে অনিশ্চয়তা ছিল, কিন্তু এখন আলো দেখতে পারছি। যেভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান চলছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি আমরাই আগামীতে রাষ্ট্রপরিচালনা করবো, ইনশাল্লাহ।’
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, এসএম ফয়সল চিশতি, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মুশফিকুর রহমান, ফখরুল আহসান শাহাজাদা, এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
Leave a Reply