রাজধানীর গুলশানে গত বছর হলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনার দায়ের করা পুলিশের মামলার তদন্ত কাজ এ বছরের শেষের দিকে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আজ শুক্রবার সকালে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই হামলার সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এখন পর্যন্ত আমরা ২২-২৩ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এর মধ্যে কয়েকজন পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তবে এর বাইরেও আরও কেউ কেউ থাকতে পারে। আমরা তদন্ত করছি আর নতুন তথ্য পাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত এই কজনের বিষয় নিশ্চিত হয়েছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া থেকে নব্য জেএমবির আধ্যাতিক নেতা মাওলানা আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। হলি আর্টিজান হামলার অনুমোদন দিয়েছিল। গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা চালায় নব্য জেএমবি। এতে দেশি বিদেশিসহ মোট ২২ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশি, তিনজন বাংলাদেশি ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। ২ জুলাই কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। এই ঘটনায় পুলিশ গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে সিটিটিসি তদন্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল জানান, আবুল কাশেমকে নব্য জেএমবির অনেকে বড় হুজুর নামে সম্বোধন করে। কথিত বড় হুজুর নব্য জেএমবির সদস্যদের কথিত জিহাদে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কোরআন ও হাদিসের আয়াতের বিকৃত ব্যাখ্যা দিতো। আবুল কাশেমের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। সে দিনাজপুরের রানীর বন্দর এলাকার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করতো বলে জানা গেছে। নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ জেএমবির অনেক বড় নেতা এই বড় হুজুরের অনুরক্ত ছিল। ইতোপূর্বে আটক হওয়া অনেক সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাকে আটকের চেষ্টা চলছিল বলেও জানান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান।
Leave a Reply