ডেইলি চিরন্তন:ভূত আছে কি নেই তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তবে বিভিন্ন সময় অনেকের ক্যামেরায় উঠে এসেছে ভূতের প্রমাণ। এসব ছবির সত্যাসত্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বহু মানুষেরই শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় এ ছবি দেখে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন এক প্রমাণ। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হবে কালের কণ্ঠে। আজ পাচ্ছেন তার তৃতীয় পর্ব।
রহস্যময় একটি খুনের ঘটনার পর সেই ভূতের বিষয়টি জানাজানি হয়। মূল ঘটনাটি ঘটে ১৯৭৪ সালের ১৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
ঘটনার দিন ভোরে রোনাল্ড ডিফিয়ারো জুনিয়র রহস্যজনকভাবে তার বাবা, দুই ভাই ও বোনকে খুন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর এ খুনের ঘটনায় সবগুলো লাশই পাওয়া যায় তাদের নিজের বিছানায়। লাশগুলোর কোথাও বুলেট কিংবা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এছাড়া তাদের প্রতিবেশীরাও এ ঘটনার কিছুই শুনতে পাননি।
এ ঘটনায় আটক হওয়ার পর ডিফিয়ারো বেশ জোরের সঙ্গেই দাবি করেন ভূত তার বাবা, ভাই ও বোনকে খুন করতে বাধ্য করেছে। তবে তার আসল উদ্দেশ্য ছিল শুধু বাবাকে খুন করা।
১১২ ওশেন এভিনিউয়ের সে বাড়িটি এরপর বিক্রি করে দেওয়া হয়। বাড়িটি কিনে নেন জর্জ ও ক্যাথি লুটজ। তারা বাড়িটি কেনার আগেই এখানে ঘটে যাওয়া করুণ কাহিনী জেনেছিলেন। তবে বাড়ির অবস্থান ছিল অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে। এর সঙ্গে ছিল পুল, গ্যারাজ ও লেক। এ কারণে চার হাজার বর্গফুটের বাড়িটি কিনে নিতে একটুও দেরি করেননি তারা।
তবে বাড়িটিতে বসবাস করতে গিয়েই বিপত্তিতে পড়েন তারা। প্রতিদিনই নানা ধরনের বস্তুর নড়াচড়া ও অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান তারা। এভাবে কোনোক্রমে ২৮ দিন পার করতে পারলেও এরপর বিষয়টি ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িতে ভূতের উপস্থিতি পরিবারের সব সদস্যই টের পাচ্ছিলেন। তাই বাধ্য হয়েই তাড়াহুড়ো করে বাড়িটি ছাড়তে হয়। তারা বিষয়টি অনুসন্ধানের আহ্বান জানান। অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথির সন্ধানে শুরু হয় তদন্ত। তবে অনুসন্ধানকারীরা বাড়িতে তদন্ত শুরু করলেও প্রাথমিকভাবে কোনো প্রমাণ পাচ্ছিলেন না। কারণ ভূতের অস্তিত্ব টের পাওয়া গেলেও তাদের হাতে অকাট্য প্রমাণ ছিল না।
এ সময় একজন অনুসন্ধানকারী বাড়ির কয়েকটি ছবি তোলেন। আর সেই একটি ছবিতেই উঠে আসে ভূতের প্রমাণ। ছবিটি একটু ভালোভাবে দেখলেই পাওয়া যায় সিঁড়ির ওপাশ থেকে তাকিয়ে থাকা অনেকটা শিশুর চেহারার মতো সেই ভূতের মুখ। যদিও সে বাড়িতে তখন কোনো মানবশিশুর অস্তিত্বও ছিল না। ইতিহাসের অন্যতম আলোড়িত ভূতের কাহিনী এটি, যার প্রমাণ রয়েছে গেছে ছবিতে।
Leave a Reply