ডেইলি চিরন্তন:রোজকার ব্যস্ততায় নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন। সেজন্য শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়াও হয়ে উঠে না। অফিসের চেয়ারে টানা ৮-৯ ঘণ্টা বসে থেকে ভুঁড়িও বাড়ছে অনেকের। দিন দিন খারাপ হচ্ছে শরীরের গড়ন। কীভাবে এক্সারসাইজ না করে কমিয়ে ফেলা যায় ওজন, তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।
খাওয়ার আগে পানি পান করুন
রোজ খেতে বসার আগে এক গ্লাস পানি পান করে নিন। এতে চটপট খিদে কমে যায়। বেশি খাবার খাওয়ার অভ্যাস নষ্ট হয়। খেতে বসার আগে খালি পেটে পানি পান করলে হজমে সুবিধে হয়। পেট ফুলে না। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
অনেকবার খান, কিন্তু অল্প খান
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার। এটাই আমাদের খাবার নিয়ম। ওজন কমাতে হলে এই নিয়ম ভাঙুন। তবে সকালে খালি পেটে থাকবেন না। ভাজাভুজি খেয়ে দিন শুরু করবেন না। খাবারকে ৬ ভাগে ভাগ করে নিন। ৬বার অল্প করে খান। পেট ভরে খাবেন না। এতে খাবারের সমস্ত খাদ্যগুণ শুষে নিতে পারে শরীর। ভালো হজম হয়। ওজন কমে। শরীরটাকে অনেক বেশি ঝরঝরে মনে হয়।
ক্যালরি নয়
বেশি ক্যালরি এমনিতেই শরীরের অনেক ক্ষতি করে। হাই-ব্লাড-প্রেশার, ডায়াবিটিজ, কলেস্টরল বাড়ায়। সেই সঙ্গে বাড়ায় শরীরের মেদ। ওজন বাড়িয়ে শরীরের গঠন নষ্ট করে। তাই ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে। এমন খাবার খান, যা সহজে হজম হয়।
লিফট নয়, সিঁড়ি
এখনকার ফ্ল্যাটবাড়িগুলোতে সিঁড়ি দিয়ে কেউ ওঠানামা করে না। সবই বেছে নেয় লিফট। অতিরিক্ত লিফটের ব্যবহার শরীরে মেদ জমায়। তাই শরীরকে ঝরঝরে করতে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে রোজ সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন।
ঘর মুছুন
বাড়ির পরিচারিকাকে দেখলেই বুঝবেন, তার রোগা থাকার কারণ। দিনে অন্তত ৪-৫টি বাড়িতে দু’বেলা বসে ঘর মোছে সে। ফলত কোমর সরু। শরীরে বাড়তি মেদ নেই। ত্বক ও চুল চকচক করে। অন্তত একবেলা যদি নিয়ম করে ঘর মুছেন আপনার ওজনও ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
ভালো ঘুম
ইনসমনিয়া কিংবা রাত জাগা মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ। সুস্থ থাকতে অনন্ত ৬ ঘণ্টা ঘুমনো উচিত। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দারুণ ভূমিকা পালন করে ঘুম। মনে রাখবেন, আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে দুটি হরমোন- লেপটিন ও গ্রেলিন। ফ্যাট সেল থেকে লেপটিন নিঃসরিত হয়। লেপটিন নিঃসরণ কম হলে খিদে বাড়ে। অন্যদিকে, বেশি গ্রেলিন নিঃসরণ হলে বেশি খিদে পায়। মেদ কমে অল্প মাত্রায়। কম ঘুমালে লেপটিনের নিঃসরণ কমে যায় ও গ্রেলিনের বেড়ে যায়। তাই রোগা থাকতে নিয়মিত ৬-৭ ঘুমতেই হবে।
Leave a Reply