সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোঘলাবাজার থানায় চেক প্রতারণা মামলায় এক লন্ডন প্রবাসী-কে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ মার্চ) যুগ্ম মহানগর ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো.দিদার হোসাইনের আদালতে আপীল আবেদন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর পূর্বে এসএমপি’র মোঘলাবাজার থানার রেঙ্গা হাজিগঞ্জ সৈয়দাবাদের মৃত হাফিজ নূরুল ইসলামের ছেলে লন্ডন প্রবাসি মোঃ মনছুরুল হক-কে গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত এক বছরের কারাদন্ড ও ৬৯ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন । রায়ের সময় তিনি পলাতক থাকায়, তার বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ব্যাবসায়িক সূত্রে মামলার বাদী ডাঃ সালেহ আহমেদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেন লন্ডন প্রবাসী মোঃ মনছুরুল হক। পরবর্তিতে ওই প্রবাসী কথা মতো টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার নিজ নামীয় একাউন্টের চেক প্রদান করেন। কিন্তু ঐ প্রবাসীর একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডাঃ সালেহ আহমেদ সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন মেজিষ্ট্রেট আদালতে এনআই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার শুনাণী ও সাক্ষি এবং প্রমাণ যাচাই-বাছাই শেষে বাদী পক্ষের আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১ বছরের কারাদন্ড ও চেকে বর্ণিত সমপরিমাণ ৬৯ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন আদালত। ওই আদেশের পর বুধবার মামলার রায়ে ঘোষিত ৬৯ লক্ষ টাকার অর্ধেক টাকা জমা প্রদান করে আদালতে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন আদালতের রায়ে দন্ডিত আসামি মনসুরুল হক। অপরদিকে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বাতিলের আবেদন করেন মামলার বাদী মো. সালেহ আহমদ। আদালতে দীর্ঘ শুনানী ও উভয় পক্ষের আইনজীবীগণের বক্তব্য শেষে মনসুরুলের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন আদালত সূত্র।
মামলার বাদী পক্ষে শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী রতন মজুমদার, স্বপন কোমার সিকদার,মির্জা মোহাম্মদ ইয়াকুত হোসেন, ফয়সল আহমদ ও আসামী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ।
Leave a Reply