যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নতুন ওই আইন পাসের পর জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকটক তাদের ব্যবসা বিক্রি না করলে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করা হবে। খবর বিবিসির।
বাইটড্যান্স তাদের মালিকানাধীন আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘টুটিয়াউ’-এ একটি পোস্টে বলেছে, টিকটক বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই।
এ বিষয়ে মন্তব্যে জানতে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেয়নি টিকটক। চলতি সপ্তাহের শুরুতে টিকটক জানিয়েছিল, অসাংবিধানিক আইনটিকে তারা আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
বাইটড্যান্স তাদের ওই পোস্টে বলেছে, বাইটড্যান্সের টিকটক বিক্রি-সংক্রান্ত বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন সত্য নয়।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বুধবার টিকটক বিক্রি ও নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত আইনে স্বাক্ষর করেছেন।
প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর ওপর বেইজিংয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইটড্যান্স ও এর ডেটার ওপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির
অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তবে বাইটড্যান্সের ওপর চীনা সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে টিকটক।
চলতি সপ্তাহে টিকটকে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় এর সিইও শো জি চিউ বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং আমরা আদালতে আপনার অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। তথ্য ও সংবিধান আমাদের পক্ষে রয়েছে, নিশ্চিত থাকুন, কোনো কিছুরই পরিবর্তন হবে না।
চিউ আশ্বস্ত করেন, টিকটক কোনোভাবেই চীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য দেবে না।
একই সঙ্গে জানান, প্ল্যাটফর্মটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে।
Leave a Reply