রোগী জিম্মি করে ধর্মঘটকে সমর্থন করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৩১ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধন শেষে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিতের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অবশ্য চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আজ এই কর্মসূচি পালন করেননি।
ইন্টার্নদের এই কর্মবিরতি-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি দুঃখজনক। ইন্টার্নদের ভাতা আমি বাড়িয়েছি। কিন্তু একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ওখানে (বগুড়ায়) যাঁদের মাধ্যমে রোগীর স্বজনরা আক্রান্ত হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারবেন। ’
ইন্টার্নদের ধর্মঘটের সময় জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা কষ্ট করে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রোগীকে জিম্মি করে কেউ ধর্মঘট করুক, সেটা আমরা সমর্থন করি না। সে ডাক্তার হোক বা শ্রমিক হোক। ’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় পিপিপির আওতায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের নামফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে গরিব রোগীরা স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা পাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই ধরনের দুটি ডায়ালাইসিস সেন্টার হয়েছে। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম মেডিক্যালের আরও উন্নয়ন হবে।
এ ছাড়া উপাচার্য নিয়োগের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
৩১ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টারটিতে একজন রোগীর একবার ডায়ালাইসিস করাতে ব্যয় হবে ২ হাজার ১৯০ টাকা। তবে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রেফারেন্স নিয়ে ডায়ালাইসিস করালে খরচ পড়বে ৪০০ টাকা।
Leave a Reply