লক্ষ্মীপুর সফরে এসে ২৭টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ১০টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ১৭টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মেচন করেন। এ সময় মোনাজাত পরিচালনা করেন টুমচর হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হারুনুর আল মাদানী।
প্রধানমন্ত্রী রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীরসংরক্ষণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবন, সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম, কমলনগর উপজেলা পরিষদ ভবন, কমলনগর উপজেলা অডিটোরিয়াম, লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত্রকেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় ও চতুর্থ), কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রাণী হাসপাতাল উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
এ ছাড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, প্রশাসন ভবন ও নাবিক নিবাস-কোস্ট গার্ড মজু চৌধুরীর হাট, পুলিশ অফিসার্স মেস লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, লক্ষ্মীপুর খাদ্যগুদামে ৫০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন গুদাম নির্মাণ, রামগঞ্জ উপজেলায় ১৩২/৩৩কেবি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ, পিয়ারাপুর সেতু, চেউয়াখালী সেতু, মজু চৌধুরীর হাটে নৌবন্দর, লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণিবিতান, রামগঞ্জে আনসার ও ভিডিপি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুর পৌর আজিম শাহ (রা.) হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন-কাম-পরীক্ষাকেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স মহিলা ব্যারাক নির্মাণ, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, কমলনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর পর লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আগামী নির্বাচনের জন্য নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিলে দেশে সন্ত্রাস হয়। আর আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে উন্নয়ন হয়। ইতিমধ্যে এটি প্রমাণিত হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের মানুষ অতীতে জামাত-বিএনপির অত্যাচার-নির্যাতনের চিত্র দেখেছে। তখন এখানে উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন যা হচ্ছে তা আওয়ামী লীগের আমলে। মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করছি। এদেশের মানুষের জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। তিনি বলেন, আমার আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। এই দেশের মানুষের জন্য আমার বাবা, মা, ভাই জীবন দিয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় বাবার মতো নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমি বাংলার মানুষের উন্নয়ন করে যাব। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, পেশাজীবীসহ প্রত্যেককে বলবো, আপনারা এই সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভুমিকা রাখুন। জঙ্গিবাদ ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যেতে পারবে না। মানুষ মারলে দোজখে যেতে হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রাখবেন। আগামীতে যতো নির্বাচন আসে তাতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার সুযোগ দেবেন। এটিই আমি চাই। এসময় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনসাধারণকে হাত তুলে নৌকার পক্ষে সমর্থন জানান দেয়ার কথা বললে সবাই হাত তুলে নৌকার স্লোগান দেন।
Leave a Reply