পিএসএলের সফল ফাইনাল আয়োজন করে পাকিস্তান যখন ক্রিকেটবিশ্বে নতুন অবস্থান তৈরীর চেষ্টায় আছে তখনই আবারও কলঙ্কের দাগ লাগল দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে। শারজিল খান এবং খালিদ লতিফের পর এবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বহিস্কৃত হলেন পেসার মোহাম্মদ ইরফান। পিএসএলে দুর্নীতির অভিযোগে ইরফানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা হওয়ার পর সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তাকে।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য ইরফানকে সময় বেঁধে দিয়েছে ট্রাইবুন্যাল। তার জবাবে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হলে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নইলে অপেক্ষা করবে শাস্তি। পিসিবির এই দুর্নীতি দমন ট্রাইবুনালে বিচারপতিরা ছাড়াও ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রাক্তন উইকেটকিপার ওয়াসিম বারি আছেন।
তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, পিএসএল-এর সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও তারা রিপোর্ট করেননি সংশ্লিষ্ট টিম ম্যানেজমেন্ট বা পিসিবির কাছে। জুয়াড়িদের প্রস্তাব এলেই তাৎক্ষণিক জানাতে হবে মর্মে আইসিসি থেকে শুরু করে সব দেশের দুর্নীতি দমন শাখার পরিষ্কার নির্দেশ আছে। অভিযুক্ত তিন পাক ক্রিকেটার সেটা করেননি। শুনানিতে এসে ইরফান জানিয়েছেন, তার সঙ্গে নাকি ১-২ বার নয়, ৫ বার কথা বলেছিল জুয়াড়িরা। এই তথ্য জানাজানি হওয়ার পরে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ৫ বার প্রস্তাব পাওয়ার পরেও ইরফান কেন কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে রিপোর্ট করেননি তিনি?
এর আগে ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন সালমান বাট, মোহম্মদ আমির এবং মোহম্মদ আসিফ। তারও আগে সেলিম মালিকদের কল্যাণে নিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে পাক ক্রিকেট। নতুন এই কেলেঙ্কারি আফ্রিদিদের দেশের ক্রিকেটের জন্য বিশাল ধাক্কা। শোনা যাচ্ছে পিএসএলে যে স্পট ফিক্সিং হচ্ছে তার খোঁজ প্রথম পেয়েছিলেন আইসিসির গোয়েন্দারা। এরপর তারা পাক বোর্ডকে পদক্ষেপ নিতে বলেন। এর পরেই সন্দেহজনক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে পাক বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই তিন ক্রিকেটারের পাশাপাশি আবারও বিপদের মুখে পাকিস্তানের ক্রিকেট।
Leave a Reply