জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যা করার দরকার তা-ই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিরোধী জোট যে কার্যক্রম চলাচ্ছে তার সঙ্গে আইএস’র কোন তফাত নেই। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল ও অবরোধ না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, অন্তত পরীক্ষার সময় যেন হরতাল অবরোধ না দেয়া হয়। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সঙ্কট নিরসনে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার তাই করা হবে। এজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন। হরতাল-অবরোধ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করবেন না। উনি একটু ক্ষান্ত দিক। তারপর আবার শুরু করুক। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বোমবাজদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা মানুষকে বলিষ্ঠভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ এরা দেশের মানুষের শান্তি চায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশকে জল্লাদখানা বানানোর চেষ্টা করছে। আর কত লাশ দেখে, কত রক্ত দেখে শান্ত হবেন উনি? আর কত রক্ত চান উনি সেটাও আমার প্রশ্ন। পেট্রলবোমা তৈরির টাকা তারা কোথায় পাচ্ছে? মানুষ পুড়িয়ে মেরে কি পাচ্ছেন তারা? কি বীভৎস ঘটনা সব ঘটাচ্ছে? কিসের আশায়? রেললাইন উপড়ে ফেলছেন, ট্রেনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলছেন, বাসে আগুন দিচ্ছেন। সংলাপের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই টিভি টকশোতে আমাকে সংলাপের কথা বলেন। পুত্রশোক যাকে টলাতে পারলো না, আমি তাকে সান্ত্ব্ততা দিয়ে দেখতে গেলাম, আমাকে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হলো না। নির্বাচনের আগে আমি তাকে ফোন করলাম। আমার সাথে কি কথা কি ব্যবহার করা হলো, কি বলা হলো দেশবাসী তা শুনেছেন। যারা এতো কথা বলেন, তাদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করলে, তারা কী কথা বলতেন? তিনি বলেন, তার ছেলে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছে। আর যাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তাদের মায়েদের কি অবস্থা সেটা কী তিনি উপলব্ধি করতে পারেন? একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে ধ্বংসের খেলায় লিপ্ত হয়েছেন বিএনপি নেত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়া বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
Leave a Reply